২০১২ সালের এই দিনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১১ জন পোশাকশ্রমিক পুড়ে মারা যান।
২০১২ সালের এই দিনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১১ জন পোশাকশ্রমিক পুড়ে মারা যান।

তাজরীনে অগ্নিকাণ্ড

ছয় বছরে সাক্ষ্য দিলেন ৯ জন, বাকি এখনো ৯৫

ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার বিচারকাজ ৯ বছরেও শেষ হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী কৌঁসুলি বলেন, সাক্ষীদের যথাসময়ে আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। কারণ, অভিযোগপত্রে থাকা ঠিকানায় সাক্ষীদের অনেকে থাকেন না। সব৴শেষ গত ১৩ জানুয়ারি একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে ১১১ জন পোশাকশ্রমিক পুড়ে মারা যান। আহত হন শতাধিক মানুষ। তাঁদের অনেকেই এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, আগুন লাগার পরপরই কারখানার তৃতীয় তলার ফটকে তালা মেরে দেওয়া হয়েছিল।

আদালত সূত্র জানায়, তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরের বছর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি অভিযোগপত্র দেয়। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যু’র অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আগুন লাগার পর শ্রমিকদের বের হতে না দিয়ে তাঁদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়।

সূত্রমতে, এ মামলায় গত ১৩ জানুয়ারি সাক্ষ্য দেন ভুক্তভোগী জরিনা বেগম। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আর কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে পারেনি।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী কৌঁসুলি রেহানা আক্তার বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তাজরীনের এমডি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর ৬ বছরে ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। রেহানা আক্তার মনে করেন, অভিযোগপত্রে যদি সাক্ষীদের মুঠোফোন নম্বর থাকত, তাহলে তাঁদের সহজে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতো।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় তাজরীনের এমডি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ছাড়া অন্য আসামির মধ্যে আছেন তাঁর স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল এবং স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম। সব আসামি জামিনে আছেন।