যাত্রীবাহী পিকআপ ভ্যানে করে রোজ স্কুলে আসা-যাওয়া করে মেয়েটি। গতকাল শনিবার সকালে কিছুটা দেরি হওয়ায় একাই হাঁটছিল। পথে এক বখাটে তাকে দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। নানা রকম অশ্লীল কথাবার্তা বলার পাশাপাশি মুঠোফোনে তার ছবিও তুলে রাখে।
মেয়েটি এতে দমে না গিয়ে বিদ্যালয়ের ফটকে কর্তব্যরত পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বখাটেকে আটক করে। মুঠোফোনে ছাত্রীর ছবি ধারণ করার প্রমাণ পাওয়ায় খবর দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। তিনি তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই বখাটেকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ছাত্রীর সাহসিকতায় বখাটেকে দণ্ড দেওয়ার ঘটনাটি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ফরিজা খাতুন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ঘটেছে।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জের ইউএনও জসীম উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই দণ্ড দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষীদের বর্ণনা থেকে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এবং বখাটের মুঠোফোনে ছাত্রীর ধারণ করা ছবি পাওয়ায় এ দণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ড পাওয়া বখাটের নাম আল-আমিন (১৯)। তাঁর বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জের পাঠানচক গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বালিকা বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক শেখ আতাউল ইসলামকে পেয়ে ছাত্রীটি উত্ত্যক্ত করা, মুঠোফোন দিয়ে ছবি তোলার বিষয়টি জানায়। আতাউল ওই বখাটেকে শনাক্ত করেই উপজেলা প্রশাসনে খবর দেন।
ইউএনও জসীম উদ্দিন জানান, তাৎক্ষণিক ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বখাটেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি এ জন্য ছাত্রীর সাহসের প্রশংসা করে বলেন, ‘ছাত্রীটি ঘটনাটি চেপে গেলে হয়তো পরবর্তী সময় আরও বড় ঘটনা ঘটত। এ ক্ষেত্রে ছাত্রীটি সাহস করে বলায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া গেছে। ছাত্রী, শিক্ষক ও সচেতন সমাজ তৎপর হলে এ ঘটনা আমরা এভাবেই এড়াতে পারব।’