একাত্তরে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে ভারত সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন মঈদুল হাসান। পরবর্তী সময়ে তিনি লিখেছেন মূলধারা ’৭১ এবং উপধারা একাত্তর, মার্চ-এপ্রিল নামে দুটি বই। বিভিন্ন দেশে অবমুক্ত হওয়া মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র ঘেঁটে ও নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি লিখছেন আরও একটি বই। তাঁর প্রকাশিতব্য সেই বইয়ের ত্রয়োদশ অধ্যায়ের তৃতীয় কিস্তি প্রকাশিত হলো আজ।
জুন মাসে মাঠপর্যায়ে ভারত সরকার গঠিত কমিটির তদন্তে মুক্তিফৌজের কমান্ডারদের অভিমত জানার চেষ্টা করা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনী কি তাদের নিজেদের সামর্থ্যে সরাসরি আক্রমণ করে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাভূত করতে পারবে? অথবা মুক্তিফৌজকে যদি একাই লড়াই করে পাকিস্তানিদের পরাভূত করতে হয়, তবে কত দূর তাদের শক্তি-সামর্থ৵ বাড়ানো দরকার? এসব তদন্ত করা হয় সম্ভবত মাঠপর্যায়ে যাঁরা অভিযানে অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদের ধারণা জানার জন্য। সম্ভবত এ কথাও জানানোর জন্য যে ভারতের সমর পরিকল্পনাকারীরা তাঁদের স্টাফ-ওয়ার্ক করে চলেছেন, যাতে নির্ণয় করা সম্ভব হয় ভারতীয় হস্তক্ষেপ সফল করার জন্য কী সংখ্যক ও কোন সামথে৴৵র মুক্তিফৌজ ও মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের প্রয়োজন হবে।
ভারতীয় তদন্ত দলের রেকডে৴ বলা হয়েছে, ‘মুক্তিফৌজের একজন সেক্টর কমান্ডারকে আলোচনার সময় জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সরাসরি একক হস্তক্ষেপ সমর্থন করবেন? তিনি উত্তর দেন, মুক্তিফৌজের সাহায্য ছাড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর একক হস্তক্ষেপ সফল হতে পারবে না। তাঁর অভিমত হলো, মুক্তিফৌজ এই কাজ হয়তো একাই সম্পন্ন করতে পারত, কিন্তু দুর্ভাগে৵র বিষয়, তাদের সেই সক্ষমতা যাচাই করার কোনো চেষ্টা করা হয়নি। তিনি আস্থাশীল যে মুক্তিফৌজ একাই নিজের শক্তিতে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাভূত করতে পারে, যদি তাদের এক ডিভিশন নিয়মিত সেনা, ৫০ হাজার অনিয়মিত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারী কামান (২৫ পাউন্ড), বিমানবিধ্বংসী কামান, ট্যাংকবিধ্বংসী গ্রেনেডসহ প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সমরসম্ভার হাতে থাকে।’
মুক্তিযুদ্ধ সফল করে তোলার জন্য সেই সময় সংশ্লিষ্ট আরও দু-একটি গ্রুপ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছিল, যাতে উচ্চতর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সেগুলো বিচার-বিবেচনা করে দেখা হয়। মিজান রহমান চৌধুরী পরিশ্রম করে মাঠপর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, তার পাশাপাশি মুক্তিফৌজ ও তাদের অধিনায়কদের মনোভাব বিবেচনায় এনে পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে কিছু পরামশ৴ দিতেন, তাহলে হয়তো যুদ্ধের প্রস্তুতি ও পদ্ধতি নির্ধারণে সেগুলো সহায়ক হতো। তা না করে তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিকে কেবল মুক্তিযোদ্ধাদের দুগ৴তির বিবরণ দেন এবং সেগুলো মুহূতে৴র মধে৵ সম্মেলনে যোগদানকারীদের মধে৵ প্রচার হওয়ায় তা ভারতের ওপর নির্ভরশীল থাকার বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী অভিমত তৈরি করে।
তাজউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে কোনো সরাসরি অভিযোগ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে ওঠেনি। কিন্তু যোগদানকারী সদস্যদের মধে৵ আলাপ-আলোচনা ও কানাঘুষায় ভারতের ওপর নির্ভরশীল থাকার প্রশ্নে তাজউদ্দীনকেই প্রধানত দায়ী করা হয়। এসব প্রচার তৎপরতায় ভারতের উদ্দেশ্য এবং তা প্রতিহত করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাজউদ্দীনের যোগ্যতা সম্পকে৴ সন্দেহ সৃষ্টিতে সবচেয়ে তৎপর হয়ে ওঠেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ।
সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মিজান চৌধুরী ঘোষণা করেন, যেভাবে এই মুক্তিযুদ্ধ চলছে, তাতে তাঁদের জয়যুক্ত হওয়ার কোনো আশা নেই। এর চেয়ে বরং উচিত হবে দেশে ফিরে গিয়ে সেখানেই যুদ্ধ করা এবং যদি সফলতা না-ই আসে, তবে পাকিস্তানের সঙ্গে আপস করাই হবে বাস্তবসম্মত। এর বিপরীতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘোষণা করেন, ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে অনুযায়ী ইতিমধে৵ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ সম্প্রসারিত করা হয়েছে, যেগুলোর ফল সঞ্চারিত হতে অন্তত তিন মাস সময় প্রয়োজন। কাজেই এর আগে অধৈর্য হয়ে পড়লে চলবে না। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা এ বিষয়ে নীরবতা বজায় রাখেন। কাজেই অনুসৃত নীতি সমর্থন করার দায়িত্ব এসে পড়ে তাজউদ্দীনের ওপর।
তাজউদ্দীন আহমদ প্রথমেই মেনে নেন মুক্তিযুদ্ধের অসম্পূর্ণ প্রয়াস ও মুক্তিযোদ্ধাদের অশেষ দুঃখ-দুর্দশার কথা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সব অসম্পূর্ণতা, ভুলত্রুটি সারিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করে তোলার প্রয়োজনীয়তা। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের দীর্ঘ চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে পৃথিবীজুড়ে মানুষের নিন্দা এবং নির্যাতিতদের পক্ষে ব্যাপক সমবেদনা সৃষ্টি করলেও তাদের ঔপনিবেশিক যুদ্ধের প্রতিবিধানে বাধ্য হয়ে যে মুক্তিযুদ্ধ আমরা শুরু করেছি, সেই যুদ্ধকে সাহায্য করার জন্য ভারত ছাড়া আর একটি দেশও এ পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি। কাজেই বাস্তব অবস্থার তাগিদেই আমরা যথাসম্ভব তাদের সাহায৵ গ্রহণের নীতি অনুসরণ করে চলেছি, যাতে শুধু এই সীমিত সাহাযে৵র ওপর নির্ভর করেও আমরা আমাদের মুক্তিসংগ্রামের নিজস্ব শক্তি ও সংগঠন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গড়ে তুলতে পারি।’
তাজউদ্দীন ঘোষণা করেন, চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য যে ধারাবাহিক সংগ্রাম ও অশেষ ত্যাগ স্বীকারের প্রয়োজন, তা সব প্রতিনিধির পক্ষে সম্ভব না-ও হতে পারে এবং যোগ্যতর নেতৃত্বের উদ্ভব এখানে ঘটবেই, তিনি নিজেও যদি সক্ষম না হন, তবে যোগ৵তর ব্যক্তির জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন, কিন্তু বিজয় হয়ে উঠবে বাংলাদেশের অনিবার্য। তুমুল ও দীর্ঘস্থায়ী করতালিতে তাজউদ্দীন অভিনন্দিত হন এবং ধরে নেওয়া হয় দেশের মুক্তিসংগ্রামে তাজউদ্দীনের নেতৃত্বের প্রতি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রতিনিধির সমর্থন রয়েছে।
পরদিন আওয়ামী লীগ কার্যকরী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে মিজান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পূর্বতন নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নয়, যার অনেক সদস৵ পাকিস্তানেই রয়ে গেছেন, বরং তাজউদ্দীন নেতৃত্বাধীন সাবেক পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগকেই এর পর থেকে দলের বৈধ সংগঠন হিসেবে গণ্য করা হবে।
চার দিন পর ১০ জুলাই কলকাতায় গোপন এক স্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেক্টর কমান্ডারদের সম্মেলনে যুগপৎ প্রধানমন্ত্রী ও দেশরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ যোগদান করেন। সেখানেও সেক্টর কমান্ডারদের মধে৵ আরেক ধরনের ক্ষোভ ও অসন্তোষ কিছুকাল যাবৎ ধূমায়িত হওয়ার দরুন গোটা বাহিনী এক গভীর সংকটের সম্মুখীন।
ইতিপূবে৴ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে কয়েকটি অসফল স্বতঃস্ফূত৴ সংঘষে৴র পর মেজর কে এম সফিউল্লাহ ও মেজর খালেদ মোশাররফ তাঁদের অধীন কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে সিলেটের তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য মিলিত হন। সেখানে বিএসএফের সহায়তায় কনে৴ল (অব.) এম এ জি ওসমানী ও মেজর জিয়াউর রহমান যোগদান করেন। তখনো বাংলাদেশ সরকার গঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। দিল্লিতে তাজউদ্দীন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন, তা তাঁরা অবগত ছিলেন না। তা সত্ত্বেও এই তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের বৈঠকেই বিদ্রোহী মেজররা সিদ্ধান্ত নেন যে তাঁদের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য অধিনায়ক কনে৴ল ওসমানীর নেতৃত্বে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতার যুদ্ধ অব্যাহত রাখবেন।
এপ্রিলের প্রথম দিকে তাজউদ্দীন তাঁদের সঙ্গে কোনো সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি। কিন্তু বিএসএফের মাধ৵মে পাওয়া তাঁদের সংকল্পের ভিত্তিতে তিনি ১০ এপ্রিল তাঁর প্রথম বেতার বক্তৃতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে জিয়াউর রহমান, সিলেট অঞ্চলে মেজর সফিউল্লাহ, কুমিল্লা অঞ্চলে মেজর খালেদ মোশাররফ এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করেন।
কিন্তু ১৭ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ হওয়ার পরও জমা দেওয়া চীনা অস্ত্র পুনরুদ্ধার, সেগুলোর বিকল্প গোলাগুলি ভারতে উৎপাদন, ভারতীয় মার্কাসমেত অস্ত্রপ্রাপ্তিতে বিধিনিষেধ, অর্থাভাবে বিদেশি অস্ত্র সংগ্রহে অক্ষমতা ইত্যাদি সমস্যা বাংলাদেশের বাহিনীতে ছিল। এসব সত্ত্বেও তাদের সেক্টর কমান্ডাররা এমন ধারণা বজায় রাখতেন যে পাকিস্তানের বৈরী নীতির জবাবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মুক্তিযুদ্ধের জন্য একসময় অস্ত্র বরাদ্দ না করে পারবে না।
এদিকে শরণার্থীর স্রোত উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের সেনাবাহিনীকে মে মাস থেকে বাংলাদেশের সেক্টর কমান্ডারদের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে এই কাজটি বিএসএফের পক্ষ থেকে করা হতো। পাকিস্তানের বিরামহীন আক্রমণদৃষ্টে ভারতের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ধারণা সমর্থন করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে একমাত্র সামরিক উপায়েই তাদের পরাভূত করে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব করে শরণার্থী সংকটের ফয়সালা করা সম্ভব। এর ফলে সম্ভাব্য যুদ্ধের কৌশল ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের মাঠপর্যায়েই চিন্তার আদান-প্রদান ঘটতে থাকে।
এ পর্যায়েই বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তা কেউ কেউ মনে করতে শুরু করেন যে উচ্চতর পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে যদি তাঁদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উদ্যোগ নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতেন, তবে সমর পরিকল্পনায় উন্নতি ঘটতে পারত। কিন্তু সেনবাহিনীর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলতে তখন মাত্র তিন বা চারজন কর্মকর্তা এবং প্রধান সেনাপতি কনে৴ল (অব.) ওসমানী, যিনি ছিলেন বয়সে প্রবীণ ও অবসরপ্রাপ্ত, অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রশ্নে অনাগ্রহী। তিনি সচরাচর নিজে উদ্যোগ নিয়ে ভারতীয় পক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। সম্ভবত এর প্রধান কারণ ছিল, যাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তাঁকে দেখা করতে হতো, তাঁরা সবাই বয়সে ছিলেন তাঁর কনিষ্ঠ কিন্তু পদমর্যাদায় তাঁদের স্থান ছিল ঊর্ধ্বে। কাজেই পদমর্যাদাসচেতন একজন প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে তাঁর পক্ষে যে কিছু অসুবিধা হতে পারে, সে সম্পকে৴ সেক্টর কমান্ডারদের কিছুটা ধারণা ছিল।
এ ছাড়া কনে৴ল ওসমানীর আরেকটি দুর্বলতা নিয়ে বিভিন্ন সেক্টর থেকেই সচরাচর এই মমে৴ অনুযোগ আসতে থাকে যে পাকিস্তানি বাহিনীর সংখ্যা ও দক্ষতা বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালানোর একমাত্র উপায়ই ছিল গেরিলা পদ্ধতির অনুসরণ। কিন্তু সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে কোনো নেতৃত্ব ওসমানীর কাছ থেকে পাওয়া যেত না। অধিকাংশ সেক্টর কমান্ডারের মধে৵ এমন ধারণা গড়ে উঠতে শুরু করে যে ওসমানী তাঁর সমগ্র পেশাজীবনে কেবল গতানুগতিক যুদ্ধবিদ্যার সঙ্গেই পরিচিত হতে পেরেছিলেন। কাজেই গেরিলাযুদ্ধের মতো অনিয়মিত, বিকেন্দ্রীভূত এবং স্থানীয় উদ্ভাবনী সমরকৌশলের সঙ্গে সুপরিচিত হতে পারেননি। কিন্তু তাঁর মতো একক ব্যক্তিত্ব তাঁদের মধে৵ কারও ছিল না, যিনি বাংলাদেশ বাহিনীর প্রধান হতে পারতেন।
(চলবে)