প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যাতে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করতে না হয়, ভারত তা নিশ্চিত করছে। নিষেধাজ্ঞা জারির আগে চুক্তিবদ্ধ পেঁয়াজ পুরোটাই বাংলাদেশে যাবে। বাংলাদেশকে ভারত এই কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে।
ভারত সফরে এসে শেখ হাসিনা হাসি মুখে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার সমালোচনা করেছিলেন। দ্বিপক্ষীয় বিষয়কে বহুপক্ষীয় আসরে প্রকাশ্য করে তিনি তাঁর ও তাঁর দেশের মানুষের অসন্তুষ্টির কথাটি জানিয়েছিলেন। তাতে কাজ হয়েছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা জারির আগে রপ্তানিযোগ্য যত ‘লেটার অব ক্রেডিট’ বা এলসি খোলা হয়েছিল, তা গ্রাহ্য করা হবে।
চলতি সংকট ও নিষেধাজ্ঞা জারির আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে মোট ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়েছিল। পুরো মাল রপ্তানির আগেই জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে অভূতপূর্ব বন্যাই তার কারণ। ওই রাজ্যের নাসিক পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রধান এলাকা। নাসিকের পেঁয়াজই প্রধানত বাংলাদেশে রপ্তানি হয়। দুম করে রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। বাংলাদেশের আমদানিকারকদের দাবি, নিষেধাজ্ঞা জারির আগে যে পরিমাণ এলসি খোলা হয়েছিল, সেই পরিমাণও আনতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন হাসতে হাসতে হিন্দিতে তাঁর ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, দুম করে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তাঁদের অসুবিধের মধ্যে পড়তে হয়, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁদের যেন একটু জানানো হয়, সেদিনই চুক্তিবদ্ধ পেঁয়াজ বাংলাদেশে যেতে দেওয়ার সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর পরেই দু দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত শুধু ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৪০ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসেছে।