চীন ছাড়া সব আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী ফ্লাইট আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়। তবে স্পেশাল কার্গো ফ্লাইট ও কার্গো ফ্লাইট যথারীতি চলবে।
করোনাভাইরাসের কারণে ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইংল্যান্ড, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী সব বিমান সংস্থার ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বেবিচক। মূলত এই সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়িয়ে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে বেবিচকের আগের ঘোষণায় ইংল্যান্ড, চীন, হংকংয়ের সঙ্গে যাত্রীবাহী ফ্লাইটগুলো সরাসরি চলবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সাত দিনের মধ্যে বর্তমানে চীন ছাড়া বাকি তিনটি রুট বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো। সবশেষ আজকের পর থেকে হংকংয়ে ক্যাথে-প্যাসিফিকের ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। গতকাল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুটে ফ্লাইট চলাচল ৩০ মার্চ থেকে সাত দিনের জন্য স্থগিত করে। এই দুটি রুটে বিমান প্রতি সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করত। লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুট বন্ধের মধ্য দিয়ে বিমানের ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটের সব ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। ১৭টি রুটে বিমান প্রতি সপ্তাহে ২১৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করত। করোনাভাইরাসের কারণে ২৪ মার্চ রাত ১২টা থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করে বেবিচক।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোকাব্বির হোসেন জানান, ফ্লাইট বন্ধ থাকায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বিমান প্রায় পৌনে পাঁচ শ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হবে।
যাত্রী কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে চীনের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইটও চলছে সীমিতভাবে। গতকাল ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৯ মার্চ থেকে ঢাকা-গুয়াংজু রুটে প্রতি সপ্তাহে রোববার একটি ফ্লাইট চালাবে। করোনাভাইরাসের আগে এই রুটে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট চালাত দেশের এই বেসরকারি বিমান সংস্থাটি। এ ছাড়া ঢাকা-গুয়াংজু রুটে চীনের প্রতি সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট রয়েছে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস। যাত্রী না পাওয়ার কারণে ঢাকা-কুনমিং রুটেও চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে।