স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে চীনের বাজারে আরও ৫ হাজার ১৬১ পণ্যের ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ এ সুবিধা পাবে। আর এটি বলবৎ থাকবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। আজ শুক্রবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বেইজিংয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান আজ দুপুরে গণমাধ্যমকে এক ভিডিও বার্তায় জানান, চীনের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ চিঠি দিয়েছিল। চীনের স্টেট কাউন্সিলের ট্যারিফ কমিশন বাংলাদেশকে এ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে ১৬ জুন একটি নোটিশ জারি করেছে।
রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান জানান, এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বা ব্যাংকক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ এমনিতেই বেশ কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। নতুন এ সুবিধা পাওয়ার ফলে বাংলাদেশের পণ্যের তালিকার পরিধি বেড়ে ৮ হাজার ২৫৬ হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে চীন থেকে এপিটির আওতায় ৩ হাজার ৯৫টি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। ওই সুবিধার বাইরে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হলো। এতে শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় চীনের বাজারে বাংলাদেশের ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় এল।