চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ির উঠান ও সামনের রাস্তা থেকে পানি তিন দিনেও নামেনি। আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে গোড়ালি পরিমাণ পানি জমেছিল। গত রোববার রাতে ভারী বর্ষণে নগরের বিভিন্ন এলাকার মতন বহদ্দাহরহাটে মেয়রের বাড়িও পানিতে তলিয়ে যায়।
মেয়রের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) মোস্তফা জামাল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তুলনামূলকভাবে পানি অনেক নেমে গেছে। ঘরের ভেতরে ঢুকে যাওয়া পানি পরিষ্কার করা হয়েছে। এখন উঠান ও রাস্তার পানি অবশ্য পুরোপুরি নামেনি। বিকেলের মধ্যে নেমে যেতে পারে। তিনি বলেন, আজ সকালে মেয়র আর নগর ভবনে যাননি। দুপুরে নগরের আগ্রাবাদ এলাকা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
জলাবদ্ধতার কারণে গতকাল সোমবার সকালে ঘর থেকে বের হতে পারেননি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এ জন্য সিটি করপোরেশন পরিচালিত সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের পৃথক সাতটি বৈঠক স্থগিত করা হয়েছিল। তবে দুপুরের পর বাড়ির পেছনের বিকল্প পথ দিয়ে বের হয়ে নগর ভবনে গিয়েছিলেন মেয়র।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি নগরের বহদ্দারহাটে। তিনি পরিবার নিয়ে বাড়ির দোতলা ভবনের ওপরের তলায় থাকেন। নিচের তলায় সচরাচর ঘরোয়া বৈঠক বা আলাপ করে থাকেন দর্শনার্থীদের সঙ্গে। এর আগে গত বছরও জলাবদ্ধতায় একাধিকবার তলিয়ে গিয়েছিল মেয়রের বাড়ির উঠান ও সামনের রাস্তা। আশপাশের এলাকাগুলোতেও একই অবস্থা। একবার পানি ওঠলে নামতে ১০ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে।
মেয়রের বাড়িতে বারবার পানি ওঠার জন্য চাক্তাই খালসহ আশপাশের খালে বাঁধ দেওয়ার বিষয়কে দায়ী করে আসছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) খালগুলোয় বাঁধ দিয়ে রেখেছে। এ জন্য পানি নামতে পারছে না। তাই বারবার জলাবদ্ধতা হচ্ছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন ঠিকমতো নালা-নর্দমাগুলো পরিষ্কার করলে অন্তত পানি দ্রুত নেমে যেত। কিন্তু তা না করার কারণে বারবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মেয়র যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, তেমনি তাঁরাও দুর্ভোগে আছেন।