চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার মোড়ের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে গতকাল শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী আজেদা বেগমকে (৩২) ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্বামী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। হোটেলে পাওয়া চিরকুট থেকে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
সাইফুল ইসলাম ও আজেদা বেগম আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নিউ গোল্ডেন সিটি নামের হোটেলের ২০৫ নম্বর কক্ষে ওঠেন। হোটেলের নিবন্ধন বইয়ের ঠিকানায় সাইফুলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে লেখা রয়েছে। তাঁদের দুজনের বিয়ে হয় বছর খানেক আগে।
এর আগে আজেদার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল পাহাড়তলী থানাধীন ডিজেল কলোনি এলাকায়। সেখানে তাঁর তিনটি সন্তান রয়েছে। হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার করা আজেদার জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রথম স্বামীর নাম গোলাম মওলা লেখা রয়েছে। তাঁর জন্ম ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে আজেদা বেগম ও সাইফুল ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই দুজনের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। ওই কলহ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান মিয়া জানান, স্ত্রীকে বেড়াতে নেওয়ার নাম করে শুক্রবার কুমিল্লা থেকে অলংকার মোড়ের নিউ গোল্ডেন সিটিতে ওঠেন সাইফুল। পরে রাতে তাঁকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেন। দুটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে পারিবারিক কলহের বিষয়টি স্পষ্ট। আরেকটি চিরকুটে দুজনকে একসঙ্গে কবর দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে।
পুলিশ কক্ষ থেকে রক্তমাখা একটি ছোরা উদ্ধার করে। গলা কাটা অবস্থায় মহিলার লাশ বিছানার ওপর পড়ে ছিল। আর সাইফুলের লাশটি বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলছিল।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেলের ব্যবস্থাপক মো. রফিক ও দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়।