চট্টগ্রামের সিমেন্ট ক্রসিং কাঁচাবাজারে অভিযান চালিয়ে একটি গুদাম থেকে টিসিবির পণ্য উদ্ধার করেছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে বাজারের গাউছিয়া স্টোরে অভিযান শুরু করেন র্যাবের সদস্যরা। দুপুর ১২টায় অভিযান শেষে উদ্ধার হয় ২ হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ৫০০ কেজি চিনি ও ৫০০ কেজি মসুর ডাল।
টিসিবির পণ্য উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭–এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের পর গাউছিয়া স্টোরের মালিক জসিম সওদাগর, টিসিবির ডিলার মো. রাশেদ ও মো. নুরুউল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী মামলা করে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।
বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বস্তায় বস্তায় চিনি ও ডাল গুদামে পড়ে আছে। কিছু তেল বোতল থেকে বের করে রাখা হয়েছে বড় ড্রামে। আবার কিছু তেল ছিল বোতলে। পরে র্যাবের সদস্যরা এসব পণ্য ট্রাকে তুলে নিয়ে যান।
কাঁচাবাজারের নিরাপত্তাকর্মী মো. নাছির প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার রাতে গাউছিয়া স্টোরের মালিক জসিম সওদাগর এসব পণ্য নিয়ে আসেন। শ্রমিকেরা এসব মালামাল গুদামে ঢুকিয়ে রাখেন। কিন্তু রাত একটার দিকে পুলিশ চলে আসে। পরে শ্রমিকেরা চলে যান। আবার আজ ভোররাতে র্যাব সদস্যরা এসে গুদামে অভিযান চালান।
চট্টগ্রামে গত রোববার থেকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। নগরের ৪১টি ওয়ার্ড ও ১৫টি উপজেলায় তেল, চিনি, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই দিনের মধ্যেই ডালের মজুত প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের হাতে এখন মসুর ডাল আছে ৪০ মেট্রিক টন। কিন্তু চাহিদা অন্তত এক হাজার মেট্রিক টনের। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ডালের মজুত শেষ হয়ে আসছে। যা আছে, তা দিয়ে দুই দিন চলবে। টিসিবি জানিয়েছে, আজ রাতেই ডাল আসবে।
চট্টগ্রাম জেলায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮২টি পরিবারকে টিসিবির পণ্য কিনতে কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম কিস্তিতে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন অন্তত ৫০০ পরিবার পণ্য পাবে। প্রতিটি পরিবার ১১০ টাকা দামে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা দামে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা দামে ২ কেজি মসুর ডাল একসঙ্গে কিনতে পারবে। নগরের বাইরে ১৫টি পৌরসভা ও ১৫টি উপজেলায় পণ্য বিক্রি চলবে।