চট্টগ্রামে আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আজ বুধবার রাতে চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষায় এক নারী ও দুই পুরুষের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রামে এ নিয়ে পাঁচজনের শরীরের করোনাভাইরাস পাওয়া গেল।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রামে আরও তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। কী কারণে তাঁরা আক্রান্ত হলেন তা যাচাই করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা জানান, সংক্রমিত তিনজনের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে। নগরের সাগরিকা এলাকায় আরেকজনের বাড়ি। তিনি পোশাক কারখানার কর্মী। ওই কারখানার কতজন শ্রমিক কাজ করছেন, তা শনাক্ত করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। অন্যজনের বাড়ি সীতাকুণ্ড পৌর এলাকায়। তিনি একজন ব্যাংকার।
হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণের জন্য বুধবার ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। বাকি ৫৭ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
চট্টগ্রাম নগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরে দুজন এবং সীতাকুণ্ডে একজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। পুলিশ দ্রুত কাজ শুরু করেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাঁদের স্বজনদের বাড়িঘর রাতের মধ্যেই লকডাউন হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, সীতাকুণ্ডের সংক্রমিত ব্যক্তি একজন ব্যাংকার। তিনি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সফর করে আবার সীতাকুণ্ডে ফেরেন। উপজেলা প্রশাসন পুলিশ নিয়ে তাঁর সীতাকুণ্ড পৌর এলাকার বাড়িটি লকডাউন করতে যাচ্ছে।