সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। সেনাপ্রধান আজ বৃহস্পতিবার সাভার সেনানিবাসের ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে সেনাবাহিনী ফায়ারিং প্রতিযোগিতা ২০১৯-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী আগাম কোনো নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করে না। কারণ এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে সেনাবাহিনীকে স্থায়ী নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। তিনি বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর সব ডিভিশন ও এরিয়া হেডকোয়ার্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট ডিভিশনগুলোর পক্ষ থেকে বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। দুর্যোগের আগে, দুর্যোগ চলাকালে বা দুর্যোগ-পরবর্তী যেকোনো দায়িত্ব পালনের জন্য সেনাবাহিনী পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেনারেল আজিজ আহমেদ সেনাবাহিনী ফায়ারিং প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর প্রধান ফায়ারিং প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ ৮ জন ফায়ারারকে ‘সেনাবাহিনী শ্রেষ্ঠ ফায়ারার’ ইনসিগনিয়া প্রদান করেন। এ প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ১৫টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড অঞ্চল দল চ্যাম্পিয়ন এবং ২৪ পদাতিক ডিভিশন অঞ্চল দল রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতায় ৯ পদাতিক ডিভিশন অঞ্চল দলের সৈনিক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং ৬৬ পদাতিক ডিভিশন অঞ্চল দলের ল্যান্স কর্পোরাল মো. আশরাফুজ্জামান দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ফায়ারার নির্বাচিত হন।
সেনাবাহিনী ফায়ারিং প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সাভার অঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিট ও সংস্থার অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সৈনিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সেনাবাহিনীর প্রধান সাভার সেনানিবাসে হকি টার্ফ-এর উদ্বোধন করেন। এ ছাড়াও তিনি সেখানে আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ সাভার সেনানিবাসে নির্মাণাধীন জেসিওএস কোয়ার্টার ‘সেনা নবনীর’ নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।