ঘাটে চাপ বুঝে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)। সংস্থার চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ কথা জানান।
বিধিনিষেধের কারণে রাতে মালবাহী যানের জন্য ফেরি চলাচল করে। আর দিনে শুধু লাশবাহী যান, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানের জন্য অল্প কিছু ফেরি বরাদ্দ করা আছে। কিন্তু ঈদে ঘরমুখী মানুষ বিশেষ প্রয়োজনে চলাচলকারী ফেরিগুলোতে হুড়মুড়িয়ে উঠে যাচ্ছেন। এ জন্য সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তাজুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লাশের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের সময় যেভাবে মানুষ হুড়মুড়িয়ে উঠে যাচ্ছেন, তাতে জরুরি প্রয়োজনের যান আটকা পড়ে যাচ্ছে। এ জন্যই যে ঘাটে প্রয়োজন মনে হবে, সেখানে দু-একটা ফেরি বাড়তি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রধান যাতায়াত হয় পদ্মার দুই ফেরিঘাট হয়ে। এগুলো হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, বর্তমানে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৬টি ফেরি সচল। এর মধ্যে লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি প্রয়োজনের গাড়ির জন্য তিনটি ফেরি দিনে চলাচল করে। আর রাতে প্রয়োজন অনুযায়ী মালবাহী ফেরি চলে। গত রোববার ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ৩৫টি লাশবাহী গাড়ি ঘাটে আটকা পড়ে। জরুরি ফেরিগুলো দিয়ে লাশ পরিবহন করতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখী মানুষও উঠে যাচ্ছেন। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে প্রয়োজন অনুসারে ফেরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি আছে ১৭টি। ওই পথেও দিনে দু-তিনটি ফেরি জরুরি প্রয়োজনে চলাচল করত। মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ফেরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঘাটে যাঁরা ভিড় করছেন, এর বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ। তাঁদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করেই ফেরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।