বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা–কর্মচারীর নেওয়া গ্রাহক ফির (ইউজার ফিস) অতিরিক্ত অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কোন বিভাগের কোন শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা–কর্মচারী কত টাকা বেশি নিয়েছেন, তা বের করতে একটি কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সোমবার বিএসএমএমইউয়ের সিন্ডিকেট সভায় অর্থ ফেরত আনা ও কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। কমিটিকে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গত বছর অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে হাইকোর্টের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের বৈঠকে বিষয়টি তোলা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ গ্রাহক ফি বাবদ অতিরিক্ত ১২৪ কোটি টাকা নিয়েছেন। কোন বিভাগ কত টাকা নিয়েছে, তা বের করা হয়েছে। কিন্তু কে কত টাকা নিয়েছেন, তা এখনো বের করা যায়নি। এটা বের করার পর, যে যত টাকা অতিরিক্ত নিয়েছেন, তা ফেরত চাওয়া হবে।
২০০৬–০৭ অর্থবছর থেকে মোট গ্রাহক ফির ৩০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা নিচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহক ফির লভ্যাংশের ৩০ শতাংশ পাওয়ার কথা। লভ্যাংশ হলো প্রত্যেক বিভাগে গ্রাহককে সেবা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে খরচ হয়, সে অংশ বাদ দিয়ে যা থাকবে, সেটি। কিন্তু নেওয়া হয়েছে পুরো অর্থের ৩০ শতাংশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হৃদ্রোগ বিভাগের এক চিকিৎসক বলেছেন, ‘টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে। টাকা ফেরত দেব। সবারই ফেরত দেওয়া উচিত। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বজায় থাকবে।’