গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুদক

মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’
ফাইল ছবি

আট বছর আগে ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগপত্র দিতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার অভিযোগপত্র অনুমোদন করে কমিশন।

শিগগিরই এ অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক  প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগপত্রে মনিরের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি ১১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে গত ২১ নভেম্বর গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। মনির এখন কারাগারে।

দুদক জানায়, ২০০৯ সাল পর্যন্ত  মনির হোসেন তাঁর সম্পদের হিসাব দুদককে দিয়েছিলেন। সেখানে দান থেকে ১ কোটি ৬১ লাখ টাকার পাওয়ার তথ্য দিয়েছেন, যা ভুয়া। এ ছাড়া আরও দেড় কোটি টাকার বৈধ কোনো উৎস দেখাতে পারেননি মনির।

হিসাবে গরমিলের তথ্য পাওয়ার পর ২০১২ সালে মার্চে রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

অভিযোগপত্রের জন্য এত সময় লাগার কারণ হিসেবে প্রণব কুমার বলেন, হাটকোর্টে করা একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত হয়। তা ছাড়া এর আগে যিনি মামলাটির তদন্ত করছিলেন, তিনি বদলি হন। পরে আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসব কারণে দেরি হয়েছে।

আরও ৯ দিনের রিমান্ডে গোল্ডেন মনির

অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বৈদেশিক মুদ্রা রাখার পৃথক তিন মামলায় মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন’ মনিরকে আরও ৯ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে মনিরকে ১৪ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তিন মামলায় মোট ২৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।

আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে প্রতিটি মামলায় তিন দিন করে মোট ৯ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম। গোল্ডেন মনিরকে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক ২ মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিন এবং মাদক মামলায় ৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।

নব্বইয়ের দশকে গাউছিয়া মার্কেটের কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন মনির।

এরপর মৌচাক মার্কেটের ক্রোকারিজের দোকানে চাকরি নেন। সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে যুক্ত হন বিমানবন্দরকেন্দ্রিক লাগেজ পার্টি ও স্বর্ণের চোরাচালানে। পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ নামে।