জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনা মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। অভিযোগ পাঁচটি হলো ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উসকানি, সংশ্লিষ্টতা এবং হত্যা ও নির্যাতন। অভিযোগের সঙ্গে অপরাধের দায়দায়িত্ব হিসেবে আনা হয়েছে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। তবে আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, তিনি (গোলাম আযম) যে অপরাধ করেছেন তা মৃত্যুদণ্ডতুল্য। কিন্তু তাঁর বয়স বিবেচেনা করে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। এ রায়ের মধ্য দিয়ে একাত্তরে এ দেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি মামলার বিচার শেষ হলো। এর আগে ঘোষিত চারটি রায়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-১ দিয়েছেন একটি, বাকি তিনটি রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-২। এর তিনটিই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম রায় দেন ট্রাইব্যুনাল-২। ওই রায়ে জামায়াতের সাবেক সদস্য (রুকন) পলাতক আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি একই ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। তৃতীয় রায় আসে ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে; ২৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই রায়ে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ৯ মে চতুর্থ রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।