গোয়ালন্দের যুবক ছয় দিন ধরে নিখোঁজ

ফজের দেওয়ান
ফজের দেওয়ান

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ফজের দেওয়ান (৩২) নামের এক যুবক ছয় দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলছেন, তিনি ইয়াবা বড়ির চালান পাচার করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন।
ফজেরের পরিবারের দাবি, স্থানীয় মাইনাল ফকির নামের এক ব্যক্তির দেওয়া একটি ওষুধের পোঁটলা অন্যত্র পৌঁছে দিতে গিয়ে ফজের আর ফেরেননি। এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
ফজেরের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ পৌরসভার দেওয়ানপাড়া (মাস্টারপাড়া) গ্রামের ইছাক দেওয়ানের ছেলে ফজের। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। প্রায় তিন মাস আগে একই এলাকার মাইনাল ফকিরের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার ফজের স্থানীয় প্রপার হাইস্কুল মাঠে মাইনালের সঙ্গে আড্ডা দেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে ফজের তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে বলেন, রাতেই মাইনালের দেওয়া একটি ওষুধের পোঁটলা উপজেলার অন্তারমোড় এলাকা দিয়ে ট্রলারযোগে আরিচা ঘাটে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এর বিনিময়ে তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে। সংসারের অভাবের কথা ভেবে তিনি মাইনালের কথায় রাজি হয়েছেন বলেও জানান। রাতে খাওয়া শেষে তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফেরেননি। পরিবারের ধারণা, মাইনাল ও তাঁর লোকজন কৌশলে ফজেরকে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে গুম করেছেন।
ফজেরের চাচাতো ভাই তুহিন দেওয়ান বলেন, মাইনালের সঙ্গে তিন মাস আগে ফজেরের বিরোধ হয়। তাঁদের ধারণা, পূর্ববিরোধের প্রতিশোধ নিতেই কৌশলে ফজেরকে ডেকে নিয়ে গুম করে থাকতে পারেন মাইনাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, মাইনালের সঙ্গে সম্প্রতি ফজের ইয়াবা বড়ির ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ইয়াবার চালান পাচার করতে গিয়েই তিনি নিখোঁজ হন। তবে ফজেরের পরিবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মাইনাল ফকির বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সত্য নয়। গত বৃহস্পতিবার ফজেরের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। এরপর ফজের কী করেছেন বা কোথায় গেছেন, তিনি কিছুই জানেন না।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহজালাল বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে মাদকসংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত মাইনালকে গত রোববার রাতে আটকের পর গতকাল সোমবার রাজবাড়ীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।