গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত কমপক্ষে ১৫ জন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার কালীতলা এলাকার জুম্মারঘর নামক স্থানে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাস উল্টে ঘটনাস্থলে তিনজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজন জন মারা যান। গাইবান্ধা ও গোবিন্দগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে বরকত এন্টারপ্রাইজের একটি নৈশকোচ দ্রুতগতিতে বুড়িমারী যাচ্ছিল। জুম্মার ঘর নামক স্থানে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি মহাসড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গাইবান্ধা ও গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার উত্তর তাজপুর গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে রিয়াজ উদ্দীন (২০), টাঙ্গাইলের কালীহাতি উপজেলার বল্লা গ্রামের মৃত ভোলা নাথ সাহার ছেলে বিকাশ চন্দ্র সাহা (৪৮), টাঙ্গাইল সদরের বেতকা গ্রামের ভুবন সরকারের ছেলে সুনীল কুমার সরকার (৫০), লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানা গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে বিদ্যুৎ (৩২) ও একই জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বোতার ছাতা গ্রামের মহসীন আলীর ছেলে মাহবুল ইসলাম (২২)।
আহত ব্যক্তিদের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত যাত্রীরা জানান, চালক বগুড়া থেকেই বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান জানান, চালকের দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটো থাকতে পারে। বাসটি উল্টে গিয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামকৃষ্ণ বর্মণ। তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।