গোপালগঞ্জে আরও সাত পুলিশ সদস্যসহ আটজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় ১৭ জন করোনায় ‘পজিটিভ’ হলো। তাদের মধ্যে ১০ জনই পুলিশ সদস্য।
বৃহস্পতিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন চিকিৎসক নিয়াজ মোহাম্মদ। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত জেলা থেকে ২২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ জনের পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন পরীক্ষায় করোনা ‘পজিটিভ’ হয়েছে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১০ পুলিশ সদস্যের সবাই মুকসুদপুরের; এর বাইরে উপজেলার আর কারও শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তিনজন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার তিনজন এবং কোটালীপাড়া উপজেলার একজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপজেলা পর্যায়ের আইসোলেশন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
৯ এপ্রিল জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় পাটগাতি ইউনিয়নের এক দম্পতির শরীরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ১১ এপ্রিল একই উপজেলায় গোপালপুর ইউনিয়নের এক যুবকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এ অবস্থায় ১২ এপ্রিল টুঙ্গিপাড়াকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন।
১৩ এপ্রিল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্গাপুর, উরফি এবং চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নের তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তাদের সবাই নারায়ণগঞ্জ থেকে সম্প্রতি এলাকায় ফেরে। একই দিন মুকসুদপুর থানার তিন পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনা শনাক্ত হন। এরপর ১৪ এপ্রিল গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে পুরো গোপালগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করে প্রশাসন।
এর আগে ৬ এপ্রিল মুকসুদপুর থানার এক পুলিশ সদস্য জ্বরে পড়লে ছুটি নিয়ে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ হন। এরপর ওই পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে আসা মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) থানার ৬০ জনের সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্য থেকেই ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।