গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মী রিপন বৈদ্য (৪২) জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন। আজ শনিবার সকালে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
রিপন বৈদ্য মুকসুদপুরের জলিরপাড় ইউনিয়নের বানিয়ারচর গ্রামের পূর্ণ বৈদ্যে ছেলে। তিনি
বানিয়ারচর ক্যাথলিক মিশনের চিকিৎসা কেন্দ্রের ল্যাব টেকনিশিয়ান ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান জানান, রিপন বৈদ্য এক সপ্তাহ আগে অসুস্থ হন। তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরিবারে লোকজন। সেখানে তাঁর করোনার নমুনা নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে দুদিন থাকার পর ১১ জুন গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রিপনকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ১২ জুন রাতে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান তিনি
করোনা আক্রান্ত আরও ১৮ জন
গোপালগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫৪ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৭২ জন । মারা গেছেন ৩ জন। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ এসব তথ্য জানান।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ১ জন, মুকসুদপুরে ৭, কোটালীপাড়ায় ১ ও কাশিয়ানী উপজেলায় ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়িসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।