হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর গ্রামে গতকাল শুক্রবার ভোরে বাবলি রানী গোপ (২২) নামের এক নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বাবলির বাবা জিতেন্দ্র চন্দ্র গোপ বাদী হয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী পল্টু গোপ, শ্বশুর ঠাকুর ধন গোপ ও শাশুড়ি বিপদ রানী গোপকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ঠাকুর ধন গোপ ও বিপদ রানী গোপকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার পর থেকে পল্টু গোপ পলাতক রয়েছেন।
মাধবপুর থানার এসআই শামস-ই তাব্রিজ জানান, গতকাল বিকালে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
মামলার এজাহার ও ওই গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাড়ে পাঁচ মাস আগে ধর্মঘর গ্রামের পল্টু গোপের সঙ্গে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কলিলপুর ইউনিয়নের হালিমপুর গ্রামের বাবলি রানী গোপের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পল্টু গোপ যৌতুক হিসেবে বাবলির বাবার কাছ থেকে নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা, চার ভরি সোনার গয়না, আসবাব, রেফ্রিজারেটরসহ বিভিন্ন মালামাল নেন। বিয়ের পর বাবলির বাবার কাছ থেকে আরও এক লাখ টাকা নেওয়ার জন্য পল্টু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা চাপ সৃষ্টি করেন।
বাবলির চাচা বিকুল চন্দ্র গোপ অভিযোগ করেন, ‘এক সাপ্তাহ আগে পল্টু গোপ বাবলিকে নিয়ে আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসেন। তখন তিনি ব্যবসার কথা বলে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বলে জানালে পল্টু বাবলিকে নিয়ে চলে যায়। গতকাল ভোরে যৌতুকের টাকার জন্যই স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে আমার ভাতিজিকে গলাটিপে হত্যা করেছে।’
তবে বিপদ রানী গোপ বলেন, ‘রাতে আমরা ঘুমে ছিলাম। পল্টু ও তার স্ত্রী অন্য কক্ষে থাকে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।’