গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ভাঙচুর

মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি নেতা এহছানুল হক মিলন, তৈমুর আলম খন্দকার ও সেলিমুজ্জামান সেলিমের অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন। অনেকেই কার্যালয়ে দ্বিতীয় তলায় ইট পাটকেল ছোড়েন। এতে জানালার কাচ ভেঙে যায়। ছবি: দীপু মালাকার
মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি নেতা এহছানুল হক মিলন, তৈমুর আলম খন্দকার ও সেলিমুজ্জামান সেলিমের অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন। অনেকেই কার্যালয়ে দ্বিতীয় তলায় ইট পাটকেল ছোড়েন। এতে জানালার কাচ ভেঙে যায়। ছবি: দীপু মালাকার

মনোনয়ন না দেওয়ায় প্রতিবাদে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন দলটির তিন নেতার কর্মী- সমর্থকেরা। এ সময় তারা ইট পাটকেল ছোড়েন। শনিবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

চাঁদপুরে মনোনয়নবঞ্চিত এহছানুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার ও গোপালগঞ্জের সেলিমুজ্জামান সেলিমের অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা সন্ধ্যায় দলের চেয়ারপারসনের খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে লাথি মারেন, ধাক্কা দেন, ইট-পাটকেল ছুড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে কার্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে যায়। রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের এই বিক্ষোভ চলছিল। অনেকেই ফটকের সামনে শুয়ে বিক্ষোভ করছেন।

এর আগে শনিবার সকালে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনের অনুসারী নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টন কার্যালয়ের ফটকে তালা দেন। বিক্ষোভের পর ১২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে তাঁরা তালা খুলে দেন। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে মিলনের কর্মী–সমর্থকেরা গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সামনে এসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করতে থাকেন।

মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিমের অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় সেলিমুজ্জামান সেলিমের অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা শুয়ে পড়েন। ৮ ডিসেম্বর, গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়, ঢাকা। ছবি: লুৎফরজামান

এর মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে বঞ্চিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে ভাঙচুর চালান। তাঁরা বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের ফটকে ধাক্কাধাক্কি করেন। একপর্যায়ে দুই-তিনজন কর্মী বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দ্বিতীয় তলায় ইট পাটকেল ছোড়েন।  এতে জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপকারীকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন।

এর সঙ্গে একই কারণে এহছানুল হক মিলনের সমর্থকেরা সাড়ে পাঁচটা থেকে তাঁর নামে স্লোগান দিতে থাকেন। গোপালগঞ্জের সেলিমুজ্জামান সেলিমের হাজারো সমর্থক শনিবার বিকেলে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হামলা চালান। একপর্যায়ে সেলিমুজ্জামান সেলিমের কর্মী-সমর্থকেরা রাস্তায় শুয়ে পড়েন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খানসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা কার্যালয়ের ভেতরে আছেন।

মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি নেতা এহছানুল হক মিলন, তৈমুর আলম খন্দকার ও সেলিমুজ্জামান সেলিমের অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন। ৮ ডিসেম্বর, গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়, ঢাকা। ছবি: দীপু মালাকার

পৌনে সাতটার দিকে তৈমুর আলমের সমর্থকেরা সরে যান। তবে এ সময় তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ারি-সাবধান’ স্লোগান দিতে থাকেন। এর পাশাপাশি বিএনপির ঢাকার নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হচ্ছেন, তাঁরা মিলনের কর্মীদের সরে যেতে বলেছেন।

এহছানুল হক মিলন চাঁদপুর-১, তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ এবং সেলিমুজ্জামান গোপালগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপির নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিমের কর্মী সমর্থকেরা বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের একপর্যায়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। ছবি: দীপু মালাকার