গারো পাহাড়ে পড়ে ছিল মরা হাতি। মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা মালাকোচা গ্রামে
গারো পাহাড়ে পড়ে ছিল মরা হাতি। মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা মালাকোচা গ্রামে

গারো পাহাড় থেকে মরা হাতি উদ্ধার

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় গারো পাহাড় থেকে মরা হাতি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা মালাকোচা গ্রামের পাহাড়ের টিলা থেকে এটি উদ্ধার করে বন বিভাগ। পরে বিকেলে বন বিভাগের লোকজন ওই স্থানের পাশেই মরা হাতিটি মাটিচাপা দেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে সীমান্তের ওপার থেকে একদল বন্য হাতি খাবারের সন্ধানে শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা গ্রামের লোকালয়ে নেমে আসে। এর পর থেকেই অর্ধশত হাতি পাহাড়ি এলাকার কৃষকের কাঁচা-পাকা আমন ধান ও শাকসবজির বাগান খেয়ে নষ্ট করছে। তাই সন্ধ্যা হলেই কৃষকেরা হাতির আক্রমণ থেকে তাঁদের ফসল রক্ষা করতে বিভিন্ন স্থানে জেনারেটরের মাধ্যমে জিআই তার দিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ দেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার ভোরে জেনারেটরের বিদ্যুতের তারের সঙ্গে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে।

মৃত হাতিটির ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওই পুরুষ হাতির বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর। এর দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট। ময়নাতদন্তে হাতির শুঁড়ে বিদ্যুতের ঝলসানো দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটি মারা গেছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য হাতির দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বন বিভাগ ও বালিজুরির রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে। কয়েক দিন ধরে হাতির দল সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করেছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় পাহারা দেওয়া হচ্ছে, যাতে হাতি ও মানুষের কোনো ক্ষতি না হয়।