নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে তুলে আনতে হবে। যাতে কোনো বির্তকের সৃষ্টি না হয়। সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় হেলালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে তুলে আনতে হবে। যাতে কোনো বির্তকের সৃষ্টি না হয়। সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের বিষয়ে পূর্ণ নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, এখন যেহেতু একটি নির্বাচন হবে, স্বাভাবিকভাবে সবার দৃষ্টি সেদিকে থাকবে। আমাদের খেলাল রাখতে হবে, এ নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর হয়।
জেলা প্রশাসনের অয়োজনে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন। সভায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারী, রংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমানসহ জেলা ও সংশিষ্ট দুই উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, নির্বাচন সম্পর্কিত কর্মকর্তা ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রিটানিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, এ আসনে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ইউনুস আলী সরকার, জাতীয় পার্টির (জাপা) দিলারা খন্দকার শিল্পী, জাসদের এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি, এনপিপির মিজানুর রহমান তিতু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ।
এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে এ আসনের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। ফলে ৩০ ডিসেম্বর এখানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন পুনঃ তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত পুনঃ তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১০ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই হয় ৩ জানুয়ারি ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জানুয়ারি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন। এখানে ১৩২টি কেন্দ্রে ১৩২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৭৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১৫৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৭৪৬ জন এবং নারী ২ লাখ ১১ হাজার ১০৮ জন।