স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি কেনায় অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া

স্বাস্থ্যশিক্ষাসচিবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা মোদাচ্ছের আলীর দ্বন্দ্ব। পাল্টাপাল্টি চিঠি। আটকে গেছে কেনাকাটা।

গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি কেনাকাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সচিব আইনকানুন মেনে কেনাকাটা করার পক্ষে। কিন্তু মোদাচ্ছের আলী আইন মানতে চান না।

৪০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনার অনুমোদনের জন্য মোদাচ্ছের আলী সর্বশেষ গত ১৫ জুন সচিবকে চিঠি দিয়েছেন। সচিব অনুমোদন না দেওয়ায় আইনকানুন নিয়ে সচিবের জ্ঞান থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ওই যন্ত্রপাতি ৩০ কোটি টাকায় কেনা সম্ভব। সচিব গত ২৪ জুন পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই কেনাকাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতি কিনতে চাইলে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করতে হবে।

‘বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্চ সেন্টারের (বিএনসিএমআরসি)’ অস্থায়ী ল্যাবের জন্য এই কেনাকাটা। বিএনসিএমআরসি গড়ে তোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিএমআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।

বিএমআরসিকে সরকার একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার স্থাপনের দায়িত্ব দেয় তিন বছর আগে। পাঁচ বছর মেয়াদি দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগোয়নি। এর অন্যতম কারণ বেদখলে থাকা জায়গা, অদক্ষতা ও অনিয়ম। গত ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া প্রকল্প অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।

তিন বছরে প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে তেমন অগ্রগতি নেই। তবে এ বছরের শুরুর দিকে মহাখালীতে নিজ কার্যালয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন ল্যাব স্থাপনে মনোযোগী হয় বিএমআরসি। এ জন্য আপাতত বাজেট ধরা হয় পাঁচ প্যাকেজে ৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে তিন প্যাকেজে ১১ কোটি ও দুই প্যাকেজে ৪০ কোটি টাকা। কিন্তু স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের নজরে আসে যে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে গিয়ে দরপত্রের প্রতিটি ধাপে অনিয়ম করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিএনসিএমআরসির প্রকল্প পরিচালক (পিডি) সিরাজুল ইসলাম মোল্লা নিজ এখতিয়ার বলে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রিচম্যান প্রাইভেট লিমিটেডকে ১১ কোটি টাকার তিনটি কার্যাদেশ দিয়েছেন। কিন্তু রিচম্যান প্রাইভেট লিমিটেডকে ৪০ কোটি টাকার বাকি দুই প্যাকেজের কার্যাদেশ দিতে গেলে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ অনুমোদন নিতেই বিভাগটির কাছে আবেদন আসে।

চার বিষয়ে আইন লঙ্ঘন

স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ গত ২৪ জুন বিএমআরসিকে জানিয়েছে, চারটি ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন হয়েছে। প্রথমেই বলেছে, কেনাকাটার জন্য গঠিত কারিগরি উপকমিটি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এতে পিডিকে সভাপতি, উপপ্রকল্প পরিচালককে (ডিপিডি) সদস্যসচিব এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপককে সদস্য করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, দেশে সেলুলার ও মলিকুলার বিষয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন একজনকে সদস্য করা হয়েছে, যিনি প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ডিপিপি প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তি কারিগরি কমিটিতে থাকার মানেই হচ্ছে কমিটির নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ। আবার কারিগরি উপকমিটি গঠনের উদ্দেশ্য যেখানে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিকে সহায়তা করা, সেখানে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির দুজনই আছেন কারিগরি উপকমিটিতে। এতে স্বার্থের সংঘাত রয়েছে।

এদিকে যন্ত্রপাতি কেনার প্যাকেজকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে পিপিআরের ১৭ (৩) বিধি না মেনে। বিধিটি পরিপালনের বিষয়ে উদাহরণ দিয়ে পিপিআরে বলা আছে, ‘৮০ কোটি টাকা ব্যয়ের কোনো ক্রয় প্যাকেজকে চারটি ভাগে (লট) বিভক্ত করে দরপত্র আহ্বান করা হলে এর কোনো একটি ভাগের জন্য চুক্তি সম্পাদনের আগে চারটি দরপত্রেরই হালনাগাদ অগ্রগতি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পেশ করতে হবে।’ ৪০ কোটি টাকার এই দরপত্রে তা করা হয়নি বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি কমিটিতে পিডি ও ডিপিডি থাকায় দরপত্র প্রক্রিয়ার পুরোটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। দরপত্রের আর্থিক মূল্যায়নে কোনো প্রতিযোগিতাই হয়নি।

পিডি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে কথা বলার জন্য বিএনসিএমআরসি প্রকল্প কার্যালয়ে দুই দিন গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ৯ জুলাই থেকে তাঁর অবসর–উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা। মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে না পেয়ে তাঁকে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগের কথা জানিয়ে ৩ আগস্ট খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব দেননি তিনি।

এদিকে ৪০ কোটি টাকার কাজ আটকে দিলেও ১১ কোটি টাকার কাজের বিষয়ে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা জানতেই চায়নি স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ।

সচিবের ওপর ক্ষোভ

রিচম্যান প্রাইভেট লিমিটেডকে ৪০ কোটি টাকার কাজ দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ পিডি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার কাছে ব্যাখ্যা চায়। কিন্তু ব্যাখ্যা দেন বিএমআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। সচিবের উদ্দেশে ১৫ জুন পাঠানো চিঠিতে মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, ‘অনুমোদন না দিয়ে ২৪ দিন ধরে আটকে রাখাটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পিপিআর সম্পর্কে আপনার মতো একজন বিজ্ঞ সচিবের উদাসীনতা আমাকে মর্মাহত ও বিস্মিত করেছে। আমার দীর্ঘ কর্মজীবনে আমি এ ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হইনি। এতে আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছি যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আমার দায়িত্বকালে বঙ্গমাতার নামে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে দিতে চাচ্ছে না। দ্রুততম সময়ে দুটি কেনাকাটার অনুমোদন দেওয়া না হলে প্রকল্পের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে এবং এর দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে আপনাদের ওপর বর্তাবে।’

তবে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে সচিব আলী নূরের কাছে তার আগেই বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস এবং স্টার্লিং মাল্টি টেকনোলজি লিমিটেড নামের দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ২৪ ও ২৫ মে আবার দরপত্র ডাকার আবেদন জানায়। এ দুই প্রতিষ্ঠান ৪০ কোটি টাকার কাজের দরপত্রে অংশ নিলেও কাজ পায়নি। তারা রিচম্যানের চেয়েও ১০ কোটি টাকা কম দর দিয়েছিল। সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ১০ কোটি টাকা বেশিতে কাজ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

সচিব আলী নূরের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে এ বিষয়ে প্রথম আলোর দুই দফা কথা হয়। ১৭ জুন তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি ৪০ কোটি টাকার কাজের দরপত্র প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ।’ ৩ আগস্ট আলী নূর বলেন, ‘এখন নতুন করে দরপত্র ডাকতে হবে। আগেরটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ ছিল না।’ বিএমআরসির চেয়ারম্যানের চিঠির ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে জানান।

বিএমআরসি কার্যালয়ে গেলে এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ২২ জুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বস্তি থাকায় জায়গাটির দখল নেওয়া যায়নি। কোভিড গেলে আবার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ল্যাবের কেনাকাটা প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম করা হয়নি। কাজটা যাতে আমার আমলে না হয়, সে জন্য ইচ্ছা করে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।’

অধীন সংস্থার লোক হয়ে সচিব আলী নূরকে এই ভাষায় চিঠি লেখাটা কি সংগত হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মোদাচ্ছের বলেন, ‘অন্য কেউ এমন চিঠি লেখার সাহস করবেন না। আমি বলেই তা করতে পেরেছি।’

প্রকল্পের গোড়াতেই গলদ

১৬ তলাবিশিষ্ট গবেষণাগার নির্মাণ প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, এতে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনই নেই। অথচ ২৫ কোটি টাকার ওপরের প্রকল্প হলেই সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ডিপিপিতে গবেষণাগার নির্মাণের কথা বলা হলেও এতে কী কী সুবিধা থাকবে এবং দেশের মানুষের কী উপকার হবে, তার কোনো বর্ণনা নেই। পরামর্শক বাবদ ৪৯ কোটি টাকা ধরা হলেও কী বিষয়ে, কতজন পরামর্শক, কত সময়ের জন্য নিয়োগ করা হবে এবং তাদের যোগ্যতাই–বা কী হবে, এ ব্যাপারেও কিছু বলা নেই। যন্ত্রপাতি পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগেরও প্রস্তাব নেই। জানা গেছে, প্রশ্ন ওঠায় পরে দায়সারা একটি সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন পিইসিতে জমা দেওয়া হয়।

দুই দিক থেকে আপত্তি

প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অণুবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এ এইচ এম নুরুন নবী গত ২৫ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে চিঠি দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন ল্যাবের যন্ত্রপাতি কেনার ব্যাপারে আরও খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন। এই যন্ত্রপাতি নতুন ভবনে স্থানান্তর করা সম্ভব কি না, সে আশঙ্কাও করেন তিনি। নূরুন্নবী চিঠিতে বলেন, বিশ্বের নামকরা ও প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি বিএনসিএমআরসির চাহিদাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি দেওয়ার জন্য অংশগ্রহণ করতে পারে। ফলে এমন ভূমিকা রাখা বাঞ্ছনীয় নয়, যা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ইঙ্গিত করে।

এদিকে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার স্বার্থে বিএনসিএমআরসি ডিপিপি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। গত ২৪ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, স্থানীয় মুদ্রার পরিবর্তে বৈদেশিক মুদ্রায় কেনাকাটার সংস্থান করতে হবে। জবাবে আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগ গত ৭ ফেব্রুয়ারি সচিব আলী নূরকে জানিয়ে দেয়, জমির দখল নেই, নির্মাণকাজও শুরু হয়নি। তা ছাড়া ডিপিপিতে বৈদেশিক মুদ্রায় কেনাকাটার সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে এই অনুমতি দেওয়া যাবে না।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) সাবেক মহাপরিচালক ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রকল্পটির শুরু থেকেই জটিলতা দেখা যাচ্ছে। জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি, প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে পণ্য কেনার মাধ্যমে, এটা ঠিক নয়। তারপর নেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন ল্যাব তৈরির উদ্যোগ। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও ভাবার দরকার ছিল।’

ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘কেনাকাটার জন্য বিধি অনুযায়ী মূল্যায়ন কমিটি হয়নি মনে হচ্ছে। আবার দেখা যাচ্ছে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির দুই সদস্যই আছেন কারিগরি উপকমিটিতে। এটিও ব্যত্যয়। স্পষ্টত স্বার্থের সংঘাতও রয়েছে।’ দেরি হোক, তবু জায়গা বুঝে পেয়েই প্রকল্প বাস্তবায়নে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন ফারুক হোসেন। বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন ল্যাবের জন্য নতুন দরপত্র ডাকা হলেও কমিটিগুলো আগে সংশোধন করতে হবে।