করোনাভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট (র্যাপিড ডট ব্লট) কার্যকর কি না, এই কিট করোনা শনাক্তে ব্যবহারের উপযোগী কি না, তা আজ বুধবার জানানো হতে পারে। গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে গঠিত পারফরম্যান্স কমিটি আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিটের ব্যাপারে তাদের অবস্থান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। কমিটির প্রতিবেদন জমা পড়লে আজই তা সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেছেন, পারফরম্যান্স কমিটি আজ বুধবার প্রতিবেদন জমা দিতে পারে। প্রতিবেদনের একটি কপি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকেও দেওয়া হবে। আরেকটি কপি দেওয়া হবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে।
বিএসএমএমইউ সূত্র জানিয়েছে, কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় গঠিত কমিটি গতকাল প্রতিবেদন অনেকটাই চূড়ান্ত করে ফেলেছে। শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ বাকি থাকায় তা উপাচার্যের কাছে জমা দেওয়া হয়নি। আজ দেওয়া হতে পারে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানও সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, বিএসএমএমইউর পারফরম্যান্স কমিটির কাছ থেকে ইতিবাচক রিপোর্ট এলেই তিনি দ্রুত নিবন্ধন প্রদানের যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। প্রচলিত আইনে প্রাপ্ত ফলাফল ঔষধ প্রশাসনের কারিগরি কমিটিতে পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তিনি সন্তুষ্ট হলে তাঁর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। বিএসএমএমইউ থেকে সন্তোষজনক ফল পাওয়ামাত্রই তিনি একক সিদ্ধান্তে নিবন্ধন করে দেবেন। আর কোনো কমিটিতে পাঠাবেন না।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয়। গত ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য।