কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে মিডিয়া এডুকেটরস নেটওয়ার্ক। তারা বলেছে, গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়া অপরাধ নয়। এ ছাড়া আরেক শিক্ষকের পদোন্নতি বাতিলের সিদ্ধান্তেরও নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে মিডিয়া এডুকেটরস নেটওয়ার্ক বলছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও এক শিক্ষার্থীর ১২তম স্থান অধিকার করার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের কারণে তথ্যদাতাকে চিহ্নিত করার জন্য ‘উচ্চতর তদন্ত কমিটি’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়। এ কমিটি শুধু গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহকারীকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়।
মিডিয়া এডুকেটরস নেটওয়ার্ক বলেছে, গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করা কোনো অপরাধ নয়। বরং গণমাধ্যমে কে তথ্য দিয়েছে, তা জানতে চাওয়া অনৈতিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের কমিটি গঠন নৈতিকতাবিবর্জিত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের পরিপন্থী।
সামান্য ত্রুটির অজুহাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিছের পদোন্নতি বাতিলেরও সমালোচনা করেছে মিডিয়া এডুকেটরস নেটওয়ার্ক। তারা বলেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রতি উদ্দেশ্যমূলক বৈরী আচরণ শুরু করেছে। দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
দেশের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮ শিক্ষক এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, গীতি আরা নাসরীন ও ফাহমিদুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।