খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা) আরও পাঁচজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলো ১৪১ জন। এ বিভাগের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা গত বুধবার পর্যন্ত করোনামুক্ত থাকলেও সেখান একজন গতকাল করোনা পজিটিভ হয়েছে। এ কারণে এই বিভাগের ১০ জেলার কোনোটাই আর করোনামুক্ত থাকল না।
আক্রান্তের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যশোর জেলায় আর সবচেয়ে কম সাতক্ষীরা জেলায়।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশেদা সুলতানা জানান, গত ১০ মার্চ থেকে খুলনায় করোনা পরীক্ষার হিসাব রাখা শুরু হয়। গত ৭ এপ্রিল থেকে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত এ বিভাগে ১৪১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। মারা গেছেন তিনজন। আর সুস্থ হয়েছেন চারজন। হাসপাতালে এখন ভর্তি রয়েছেন ২৫ জন। ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনার পাঁচজন, যশোরের ১৪ জন, কুষ্টিয়ায় চারজন ও চুয়াডাঙ্গার দুজন রয়েছেন।
রাশেদা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে পাঁচজন নতুন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের একজন করে পজিটিভ রয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে নয়জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পাশাপাশি ওই ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে ২৮৭ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ জন রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। আর ৩৫৫ জনকে কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ১২ জনকে।
রাশেদা সুলতানা জানান, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ১৪১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত ও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে যশোর জেলাতেই করোনা পজিটিভ সবচেয়ে বেশি। এর সংখ্যা ৫৬ জন। ২১ জন পজিটিভ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ঝিনাইদহ জেলা। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় ১৬ জন, খুলনায় ১৪ জন, নড়াইলে ১৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় নয়জন, মাগুরায় পাঁচজন, মেহেরপুরে তিনজন, বাগেরহাটে তিনজন ও সাতক্ষীরায় একজন করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছেন। যে তিনজন মারা গেছেন, তাঁদের বাড়ি খুলনা, বাগেরহাট ও মেহেরপুরে। এ ছাড়া এ বিভাগে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ৯১৫ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৪৫ জন রয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। ২১ হাজার ২৪৯ জনকে কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৪০৭ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১৬৬ জনকে।