জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে বিবাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের ৩০ জন করে মোট ৬০ জন আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানি পেছানোকে কেন্দ্র করে ৫ ডিসেম্বর আদালতকক্ষে বিএনপির সমর্থক আইনজীবীদের অবস্থান ও হট্টগোলের কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা আপিল বিভাগের কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।
ওই দিন (৫ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন জমা না পড়ায় জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য সময় চান অ্যাটর্নি জেনারেল। সেই প্রেক্ষাপটে শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর (আজ) ধার্য করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। এরপর বিএনপির আইনজীবীরা শুনানির তারিখ এগিয়ে আনতে আদালতকক্ষের ভেতরে হইচই শুরু করেন।
আজ সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের উদ্দেশে আপিল বিভাগ বলেন, আজকের শুনানিতে উভয় পক্ষের ৩০ জন করে আইনজীবী থাকবেন। এই বলে আদালত বিরতিতে যান।
খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দেওয়া দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে গত ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই জামিন আবেদনের শুনানিতে গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বোর্ডের মেডিকেল রিপোর্ট ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেদিন (৫ ডিসেম্বর) প্রতিবেদন জমা না পড়ায় শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর (আজ) তারিখ ধার্য করা হয়।