খালেদার জামিন শুনানি ঘিরে সুপ্রিম কোর্টে বাড়তি নিরাপত্তা

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর। ছবি: সাজিদ হোসেন
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর। ছবি: সাজিদ হোসেন

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি প্রবেশপথে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফটক দিয়ে প্রবেশের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আশপাশে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য ১২ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির এজলাসকক্ষে বসানো হয়েছে ই-ক্যামেরা।

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির আগের দিন গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এলাকার বাইরে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, হাইকোর্ট মাজার গেট ও বার কাউন্সিল ভবনের সামনে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর। ছবি: সাজিদ হোসেন

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে ঘিরে গতকাল সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এর মধ্যে কীভাবে এই ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটিকে নাশকতা বলেই মনে করছেন তাঁরা। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পেছানোকে কেন্দ্র করে গত ৫ ডিসেম্বর আদালত কক্ষে হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। সেদিন আদালত কক্ষে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হইচই ও হট্টগোল করেন। এতে বিচারকার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলে ১২ ডিসেম্বর শুনানির তারিখ ধার্য করেছিলেন। সে অনুসারে গতকাল খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়, যা আজ আদালতে উপস্থাপন করা হবে।