বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা–সম্পর্কিত তিন অবস্থার তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুসারে খালেদা জিয়া অ্যাডভান্স থেরাপির জন্য সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিলে সেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না, চিকিৎসা শুরু হলে এখন কী অবস্থা, তা জানিয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে আদালতে এ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে ওই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তা কার্যতালিকায় আসবে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার দুপুরে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে এ আদেশ দেন। ভাষার মাসে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বাংলায় এ ঘোষণা দেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া দুই বছর ধরে কারাবন্দী। শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে গেলে গত বছরের এপ্রিলে চিকিৎসার জন্য তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। তখন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আছেন। এর আগে জামিন চাওয়া হলেও আদালত তা মঞ্জুর করেননি।
আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি দুপুরে
খালেদা জিয়ার জামিনের আশায় আদালতের দিকে তাকিয়ে বিএনপি