নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর (১৫) বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুনের হস্তক্ষেপে এই বিয়ে বন্ধ হয়। একই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেয়েটির পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে খালিয়াজুরীর গাজীপুর ইউনিয়নের ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে আমিন মিয়ার (২৩) বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিষয়টির খবর পেয়ে সকালের দিকে বেসরকারি সংস্থা স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির শিশু বিয়ে রোধ প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মো. মহসীন মিয়া মেয়েটির বাড়ি যান। তিনি বিয়ে বন্ধের জন্য ওই ছাত্রীর পরিবারকে অনুরোধ করেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাতে রাজি হননি।
পরে মহসীন মিয়া মোবাইলে বিষয়টি ইউএনও সরকার আবদুল্লাহ আল মামুনকে জানান। বেলা ১১টার দিকে ইউএনও লোকজন নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হন। এ সময় বর ও কনের পরিবারকে ডেকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বোঝান। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না—এমন শর্তে মুচলেকা আদায় করেন।
ইউএনও সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েটি পাশের উপজেলা মদনের মাঘান ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে শুনেছি সে মেধাবী শিক্ষার্থী। তার পরিবারকে বুঝিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’