খাবার খাচ্ছে তোফা ও তহুরা

হাসিমুখে তহুরা
হাসিমুখে তহুরা

অস্বস্তিকর যুক্ত অবস্থা থেকে স্বস্তির বিচ্ছেদের পর এখন স্বাভাবিকভাবেই খাওয়াদাওয়া করছে তোফা ও তহুরা।

গতকাল শনিবার সকালে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উল হক। তিনি জানান, তহুরার চেয়ে তোফা তুলনামূলকভাবে বেশি ভালো আছে। তহুরার ড্রেসিংয়ের জায়গা ভিজে যাচ্ছে বলে বারবার ড্রেসিং করতে হচ্ছে। তাদের কারও শরীরেই কোনো সংক্রমণ দেখা দেয়নি। তারা স্বাভাবিকভাবেই খাওয়াদাওয়া করছে।

গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের ২০ থেকে ২২ জন চিকিৎসক যুক্ত অবস্থা থেকে ৯ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে আলাদা করেন তোফা-তহুরাকে।

নিজস্ব ভঙ্গিমায় তোফা। গতকাল তাদের ছবি তুলেছেন চিকিৎসক কৌশিক ভৌমিক

পিঠের একটু নিচ থেকে কোমর পর্যন্ত পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে জন্মেছিল তোফা-তহুরা। ১০ মাস বয়সী গাইবান্ধার এই শিশুদের এখন পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

তোফা-তহুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাহনূর ইসলামের অধীনে ভর্তি ছিল। তারা যেভাবে জোড়া লাগানো ছিল, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘পাইগোপেগাস’। বাংলাদেশে ‘পাইগোপেগাস’ শিশু আলাদা করার ঘটনা এটি প্রথম। এর আগে অন্য হাসপাতালে ভিন্ন ধরনের জোড়া লাগানো শিশুদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয়।