খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান, নারী ভাইস চেয়ারম্যানসহ আটজন অপহরণ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অপহরণের বিষয়টি প্রচার করা হয়। অপহরণের জন্য আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করা হয়।
অভিযোগ করা হয়, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান রেম্রাচাই মারমাসহ আটজন শুক্রবার খাগড়াছড়ি সদরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসেন। এ সময় ইউপিডিএফ সদস্যরা তাঁদের মুঠোফোনে খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকায় যাওয়ার জন্য বলেন। এরপর থেকে তাঁদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করা যায়নি। এমনকি তাঁদের প্রত্যেকের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ থেকেই সন্দেহ করা হয়েছিল, তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রচারিত অপহরণ বিষয়ে ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ইউপিডিএফের প্রেস শাখার সদস্য নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, অপহরণের বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। খাগড়াছড়িতে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইউপিডিএফকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান সাগরিকা চাকমা বলেন, গতকাল শনিবার সকালে নাশতা খেয়ে তাঁরা খাগড়াছড়ি বাজারে এসে লক্ষ্মীছড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য গাড়ির অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বনির্ভর এলাকায় তাঁরা ইউপিডিএফের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে যান। পরে রাত বেশি হওয়ায় তাঁরা ফেরেননি। তাঁদের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। শুধু নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান রেম্রাচাই মারমা গতকাল সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ইউপিডিএফ তাঁদের অপহরণ করেনি। ইউপিডিএফ নেতারা তাঁদের সঙ্গে আসন্ন সংসদ নির্বাচন বিষয়ে কথা বলেছেন।