কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে আহত মো. বাবলু মৃধা (৪৭) নামের এক ব্যক্তি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাতে তিনি মারা যান। তিনি গত ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এ নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৭৬১ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য বাবলুর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আনা হয়। পেশায় তিনি একজন রাজমিস্ত্রি। পরিবার নিয়ে থাকতেন যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকায়। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনায়।
নিহত বাবলু মৃধার ছেলে আবু তালিব বলে, ‘গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়েছিলাম আমি। আমার বাবা ওই দিন (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে আমাকে খুঁজতে গিয়ে শনির আখড়া এলাকায় বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। ওই দিন রাতে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে ১৮ আগস্ট পিলখানায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ২২ আগস্ট সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।’
আবু তালিব আরও জানায়, সে দনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বাবলু মৃধার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাবলুর মৃত্যুর খবর পেয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে আসেন তিনি।