রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখ পড়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সারা দেশের সংগঠকেরা পুনর্মিলনী করতে এসে এই বাধার মুখে পড়েন। এ সময় আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে এক ঘণ্টা পর পুলিশ তাঁদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে দেয়।
বেলা তিনটার দিকে সেগুনবাগিচার কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার মিলনায়তনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সারা দেশ থেকে আসা নেতারা ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন। ফটক আটকে পুলিশের কয়েকজন সদস্য দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি করছেন কয়েকজন নেতা। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ কমিশনারের লিখিত অনুমতি ছাড়া কাউকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না।
একপর্যায়ে সেখানে বিক্ষোভ শুরু করেন নেতারা। এ সময় ‘অনুমতি দিতে হবে, দিয়ে দাও’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়। বিক্ষোভে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারা দেশের কোথাও কোনো সভা সমাবেশে বাধা দেওয়া হবে না। তারপরও কেন তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে না জানানো পর্যন্ত কেউ এখান থেকে যাবে না।’
বিকেল চারটার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁদের এক ঘণ্টার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীতে কোনো কর্মসূচি পালন করতে হলে দুই দিন আগে ডিএমপির অনুমতি নিতে হয়। তাঁদের কি সে অনুমতি ছিল? তিনি বলেন, ‘কচি–কাঁচার মেলা কেন তাদের গেট খোলেনি, সেটা জিজ্ঞেস করেন। তারা কি মিলনায়তনের ভাড়া দিয়েছে?’
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ সকালে জানানো হয়, অনুমতি পাওয়া যাবে না। কিন্তু কেন অনুমতি দেওয়া হবে না সে সম্পর্কে কিছু বলেনি।’ ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আগেই ভাড়ার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।’
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় কচি–কাঁচার মেলার কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।