কেরানীগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ ৩৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ৩৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন এ ইউনিটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হিজলতলা এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হিজলতলা এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, এই ব্যক্তিদের সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হিজলতলা এলাকায় ‘প্রাইম প্যাক প্লাস্টিক’ নামের একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কারখানাটিতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের গ্লাস, প্লেট ও খাবারের প্যাকেট তৈরি হতো।

অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা দিতে তৎপর চিকিৎসকসহ হাসপাতালে কর্মরত ব্যক্তিরা। ঢাকা মেডিকেল, ১১ ডিসেম্বর। ছবি: সাইফুল ইসলাম

সন্ধ্যার পর ঢাকা মেডিকেলে রোগীদের দেখতে আসেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই কারখানার কোনো অনুমোদন ছিল না। কারখানাটি কীভাবে সেখানে হলো, সে ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেলে আসার আগে তিনি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেলে আহত ব্যক্তিদের স্বজনদের ভিড় ও আর্তনাদ লক্ষ করা গেছে। এ সময় সাহেরা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, তাঁর দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ওই কারখানায় মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে। চার বছর ধরে সে ওই কারখানায় কর্মরত। আজ দুর্ঘটনার পরপরই কারখানার লোকেরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। তার শরীরও পুড়ে গেছে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে।