চতুর্থ ধাপে জামালপুরের মেলান্দহ পৌরসভায় নির্বাচনে ভোট শুরুর পর থেকে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। কোথাও ভোট নিয়ে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়। তবে বেশির ভাগ কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের পাওয়া যায়নি। আটটি কেন্দ্র থেকে সকাল সাড়ে আটটার পর থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসেন।
রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেলান্দহ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটাররা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে। কেন্দ্রের ১ নম্বর কক্ষে ঢুকে আবদুর রশিদ নামের বিএনপির এক এজেন্টকে পাওয়া গেল। তিনি অভিযোগ করেন, ভোট দেওয়ার সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টরা বুথে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। সকাল ১০টার দিকে কে পি আঞ্জুমনোয়ারা ফারুক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট পাওয়া গেল না।
ভোটের ধীরগতির কারণে সব কেন্দ্রের সামনেই লাইন কেবলই বাড়ছিল। অনেক ভোটার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানান। বেলা ১১টার দিকে উমর উদ্দিন পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে একজন ভোটার বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা থেকে দাঁড়িয়ে, কিন্তু ভোট দিতে পারছেন না। খুব ধীরগতিতে ভোট হচ্ছে। ওই কেন্দ্রেও বিএনপির এজেন্টদের পাওয়া যায়নি।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই আটটি কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। আমার নিজস্ব এলাকার দুটি কেন্দ্র ছাড়া, বাকি আটটি কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়, তারপর নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়। এ ব্যাপারে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেও লাভ হয়নি। তাঁরা আমার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।’
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শফিক জাহিদির সঙ্গে কথা বলা যায়নি, তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর অভিযোগের কোনো ধরনের সত্যতা নেই। সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। তিনি এখনো কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগও আমার কাছে করেননি।’