লক্ষ্মীপুর-২ আসনের (রায়পুর) দক্ষিণ গাইয়াচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বাইরে নারী ও পুরুষের বেশ লম্বা লাইন থাকলেও কাউকে ভোট দিতে ভেতরে যেতে দেখা যাচ্ছে না। ভোটার না ঢুকলেও ভেতরে সিল মারা হচ্ছে।
আজ রোববার লক্ষ্মীপুরের এই কেন্দ্রে আধা ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করেও কোনো ভোটারকে ভেতরে ভোট দিতে যেতে দেখা যায়নি।
এই কেন্দ্র ছাড়াও আরও দুইটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে নারী ভোটারদের উপস্থিতি নেই । নারী ভোটারদের কেন্দ্রের বাইরে থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রায়পুর পৌর শহরের মার্চেন্ট একাডেমি কেন্দ্রে সকাল সোয়া নয়টায় গিয়ে দেখা গেছে, কোনো নারী ভোটার নেই। আওয়ামী লীগের লোকজন কেন্দ্রের সামনে অবস্থান করছেন। তাঁরা নারী ভোটারদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও কোনো নারী ভোটার নেই। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কোনো নারীকে ভোট দিতে আসতে দেখা যায়নি। রাস্তা থেকে নারীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আয়েশা আক্তার নামের এক নারী ভোট দিতে আসছিলেন। তাঁকে রাস্তায় আটকে দেয় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা। তিনি খুবই ক্ষিপ্ত হন, তিনি গালমন্দ করে উত্তেজিত হয়ে চলে যান।
এসব কেন্দ্রে বিএনপির কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। পুরো এলাকাতেই গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এই আসনে বিএনপির প্রার্থী আবুল খায়ের ভূঁইয়া। স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ ইসলাম পাপুলকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।