নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার আবদুল হালিম ওরফে সাগরকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি নেত্রকোনার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গতকাল বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা থেকে আবদুল হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবরের শেষ দিকে আবদুল হালিম তাঁর প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন। এতে ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি ছাত্রীকে গর্ভপাত করাতে বলেন। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি গর্ভপাতের জন্য ওষুধ খাওয়ান আবদুল হালিম। এতে মৃত বাচ্চা প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, অসুস্থ হওয়ার পর ওই ছাত্রীকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তার বাবা ২০ জানুয়ারি কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর পর গা ঢাকা দেন হালিম। পরে গতকাল রাতে গোপন সংবাদে পুলিশ তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হতে পারে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘দুই সন্তানের জনক আবদুল হালিমকে আজ দুপুরের দিকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’