করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিস্তার ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি অফিসে ছুটির মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও সীমিত পরিসরে খুলছে হাটবাজার, ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট শপিং মলগুলো। ঈদকে সামনে রেখে শর্তসাপেক্ষে আগামী ১০ মে থেকে এগুলোসহ অন্যান্য কার্যাবলি সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
আর আসন্ন ঈদের সময় জনগণকে নিজ নিজ স্থানে থাকতে হবে এবং আন্তজেলা, উপজেলা বা বাড়িতে যাওয়ার ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল থেকে তৈরি পোশাক কারখানা সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন হাটবাজার, দোকানপাট খোলার সুযোগ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে লকডাউন (অবরুদ্ধ) পরিস্থিতি শিথিল হয়ে গেল।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে দোকানপাট খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, হাটবাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমলগুলো ১০ মে থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। প্রতিটি শপিংমলের প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকাল আনোয়ারুল ইসলাম আজ প্রথম আলোকে বলেন, এই সময় বলা হলেও নিজ নিজ এলাকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের সুবিধামতো নির্দেশনা দিতে পারবে। অর্থাৎ প্রয়োজন হলে তার আগেও বন্ধ রাখার কথা বলতে পারে।
গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে ছুটি ও লকডাউন পরিস্থিতি চলছে। এই সময়ে ছয় দফায় ছুটি বাড়ানো হলো। করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। আর পঞ্চম দফায় ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এখন আবার বাড়ল।