স্বাধীনতা পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী

কেউ ক্ষুধার্ত, চিকিৎসাহীন থাকবে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেওয়া।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হবে; কেউ ক্ষুধার্ত, গৃহহীন থাকবে না ও চিকিৎসাবঞ্চিত রইবে না। প্রতিটি মানুষের জীবন অর্থপূর্ণ, সুন্দর ও উন্নত হবে। এটি আমাদের লক্ষ্য এবং তা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা পদক-২০১৯ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার ১০ মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এ টি এম জাফর আলম (মরণোত্তর), এ কে এম মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. কাজী মিসবাহুন নাহার, আবদুল খালেক (মরণোত্তর), অধ্যাপক মোহাম্মাদ খালেদ (মরণোত্তর), শওকত আলী খান (মরণোত্তর), চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সমাজসেবায় ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক ড. হাসিনা খান।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচারকে (বিআইএনএ) এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
পুরস্কার হিসেবে ৩ লাখ টাকার চেক, ১৮ ক্যারেট সোনার ৫০ গ্রাম ওজনের একটি পদক এবং সনদপত্র দেওয়া হয়।

আজ পুরস্কার তুলে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে সব মানুষ যেন স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারে। যেই স্বপ্ন দেখতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাবে এবং দেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নত হবে। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের উন্নত জাতি হিসেবে গৌরব অর্জন করা, সে লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করছি, দেশের মানুষ ফলাফলও পাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, গত এক দশকের প্রচেষ্টায় দেশ এখন একটি গৌরবময় অবস্থানে দাঁড়িয়েছে, যেখানে জিডিপি ৮ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ ডলারে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল, সারা পৃথিবী এখন বাংলাদেশকে সম্মানের সঙ্গে দেখে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ রাত বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি অন্ধকার রাত। ১৯৭১ সালের এই রাতে পাকিস্তানি বাহিনী নিরীহ মানুষের ওপর নিষ্ঠুর ও বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালায়। সরকার ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ গণহত্যা দিবস হিসেবে এই দিনটি পালন করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে চিরকালের জন্য মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে মাত্র ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে দেশ সমৃদ্ধ হতে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির ওপর একটি কালো অধ্যায় নেমে আসে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।