মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব আর কাতারের পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বেশি বাংলাদেশি মারা গেছেন কুয়েতে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে আটজন মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৫২২ জন। তবে করোনা সংক্রমণের চেয়ে চারটি ডিটেনশন ক্যাম্পে (বন্দিশিবির) থাকা হাজার পাঁচেক বাংলাদেশির দুর্বিষহ জীবন প্রধান বিবেচ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক সপ্তাহে ওই ক্যাম্পগুলোতে অন্তত চারজন বাংলাদেশি মারা গেছেন।
তবে চারজনই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইরাক সীমান্তবর্তী আবদালি ডিটেনশন ক্যাম্পে গত ১১ এপ্রিল থেকে অবস্থান করছেন আশরাফুল ইসলাম। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা, খাবারের অভাবের পাশাপাশি কুয়েতের কর্তৃপক্ষ সেভাবে দেখাশোনা করছে না। গত শনিবার শিবিরের একজন বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। এ বিষয়গুলো ক্যাম্পে থাকা সবাইকে সংক্ষুব্ধ করে তুলছে। অন্য তিন শিবিরেও একই পরিস্থিতি বলে শুনেছেন তিনি।
কুয়েতের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যাম্পে থাকা আমাদের লোকজন খুবই সুশৃঙ্খল ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন ক্যাম্পে থেকে তাঁরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। অন্য একটি ক্যাম্পে থাকা মিশরের লোকজনের সঙ্গে মিলে কয়েকজন বাংলাদেশি বিক্ষোভ করেছেন বলে শুনেছি। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। কুয়েত একতরফাভাবে বিভিন্ন দেশের লোকজনকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। আর ফ্লাইটের বিষয়টিও তাদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে আমাদের এখানে খুব বেশি কিছু করার সুযোগ নেই।’