দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ

কুয়াশায় ফেরি চলাচল আট ঘণ্টা বন্ধ, দুর্ভোগ

আবার ঘনকুয়াশার কারণে গত বুধবার দিবাগত রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া নয়টা পর্যন্ত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে দুই দফা প্রায় আট ঘণ্টা ফেরিসহ নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় মাঝনদীতে আটকা পড়ে গাড়িবোঝাই সাতটি ফেরি। এতে উভয় পাড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। হাজারো যাত্রীকে পড়তে হয় দুর্ভোগে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘনকুয়াশা পড়ায় বুধবার রাত ১২টার পর থেকে ফেরি মাস্টাররা সামনের কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না। তাই তাঁরা ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেন। ৩০ মিনিটের মতো বন্ধের পর চালু হলেও আবার দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশা পড়ায় কর্তৃপক্ষ ফেরি বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি শাহ মখদুম, খানজাহান আলী, কে-টাইপ কুমারী এবং ইউটিলিটি ফেরি মাধবীলতা, হাসনাহেনা, শাপলা শালুক ও রজনীগন্ধা নামের সাতটি ফেরি মাঝনদীতে আটকা পড়ে। ফেরিগুলোতে ৩৫টি যাত্রীবাহী বাস, ২৫টি পণ্যবাহী ট্রাক ও ১৫টি ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল। যাত্রী ছিল প্রায় ১ হাজার ১০০ জন। এ সময় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে আটকা পড়ে কয়েক শ গাড়ি। গতকাল সকাল সোয়া নয়টার দিকে কুয়াশা কমতে থাকলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
গতকাল সকালে দৌলতদিয়ায় দেখা যায়, ফেরিঘাট থেকে শুরু করে প্রায় চার কিলোমিটার লম্বা দুই সারিতে যাত্রীবাহী বাস, কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে অন্যান্য গাড়ি আটকে রয়েছে।
বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের চালক বাবুল হোসেন বলেন, বুধবার রাত ১২টার পর ঘাটে এসে তাঁরা আটকা পড়েন। ১১ ঘণ্টা পরও ফেরির সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষায় আছেন। সারা রাত বাসে থাকায় অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
সাতক্ষীরা থেকে পানিফল নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন ট্রাকচালক আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, রাত ১১টার দিকে তাঁরা ঘাটে পৌঁছান। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ঘাটে অপেক্ষা করে ফেরি পাননি। ট্রাকে থাকা ফলে পচন ধরার আশঙ্কা করছেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, আবার কুয়াশায় বুধবার রাত ১২টার পর থেকে গতকাল সকাল সোয়া নয়টা পর্যন্ত দুই দফায় প্রায় আট ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।