কুষ্টিয়ায় আজ সোমবার সকালে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম সকাল সাড়ে নয়টায় প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তি তিন দিন ধরে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি করানোভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নিয়ম মেনে লাশ দাফন করা হবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাতটার দিকে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ সময় চিকিৎসকেরা দেখতে পান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি (৪০) পেশায় ইজিবাইকচালক ছিলেন। শহরের চৌড়হাস এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত শুক্রবার তাঁর সর্দি দেখা দেয়। এরপর কাশি ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। আজ সকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরএমও তাপস কুমার সরকার বলেন, ইজিবাইকচালকের পরিবারে কোনো বিদেশি নেই বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। কিন্তু ইজিবাইক চালানোর সময় করোনাভাইরাসের বাহক কারও সংস্পর্শে যেতে পারেন। এ জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। এরপর লাশ সিভিল সার্জনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কয়েকজনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তির গ্রামের বাড়িতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীকে পুলিশসহ পাঠানো হয়েছে। নমুনার প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বাড়িটি লকডাউন করা থাকবে।