কুমিল্লার চান্দিনা ও বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজারে আজ রোববার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে পরিচালিত হয়েছে বিনা মূল্যে দুটি ‘এক মিনিটের ঈদবাজার’। বাজার দুটি চান্দিনা মহিলা কলেজ ও নিমসার জুনাব আলী কলেজ মাঠে বসানো হয়। এখান থেকে অন্তত ১ হাজার ৫০০ জন দুস্থ, অসহায় পরিবারকে বিনা মূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের ৩১ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ও অ্যাডহক ১৬ প্যারা পদাতিক ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে পরিচালিত হয়েছে এ ঈদবাজার।
আজ বেলা একটায় চান্দিনা মহিলা কলেজ মাঠে দেখা গেছে, বিভিন্ন টেবিলে প্রতিটি পরিবারের জন্য সাজানো আছে পাঁচ কেজি চালের প্যাকেট, দুই কেজি ডাল, চিনি, তেল, আটা, লবণ, সেমাই, আলু, পেঁয়াজ, লালশাক, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, লাউ, টমেটো এবং সব বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুদের জন্য ঈদের পোশাক। বাজারে প্রবেশ করার সময় ক্রেতাদের সাবান দিয়ে হাত ধুতে হয় ও মুখে মাস্ক পরতে হয়েছে। বাজারে আসা বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশুদের বাজার করতে সার্বক্ষণিক সহায়তা করেন সেনাসদস্যরা। এ ছাড়া নিমসার জুনাব আলী কলেজেও একই পদ্ধতিতে ঈদবাজার বসে।
চান্দিনায় বিনা মূল্যের এই বাজার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুমিল্লা অঞ্চলের ৩১ বিআইআর–এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মাহাবুব আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মেজর সাজ্জাদ, মেজর তায়েফ, ক্যাপ্টেন সাইফুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন আবরার ফায়িজ প্রমুখ।
লে. কর্নেল মাহাবুব আলম জানান, করোনার প্রার্দুভাবের এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ঈদবাজারের আয়োজন করা হয়েছে। এই বাজার থেকে হয়তো অনেককে খুশি করা যাচ্ছে না। কিন্তু সীমিত সংখ্যক মানুষকে হলেও খুশি করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে একই সময়ে নিমসারের ঈদবাজারে উপস্থিত ছিলেন ১৬ প্যারা পদাতিক ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. রেজাউল করিম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মেজর সাইফ, ক্যাপ্টেন জোবায়ের, ক্যাপ্টেন মো. মুহতাসিম ইশমাম অরণ্যসহ আরও অনেকে।
মেজর মো. রেজাউল করিম বলেন, করোনার এই সংকটময় মুহূর্তে কুমিল্লায় লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এই ঈদবাজারের আয়োজন।
৩৩ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে ছয়টি জেলায় একই ধরনের ৬টি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অসহায়, দুস্থ ও গরিব পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ, টাকা, কাপড় ও নানা উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয়।