কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি খারিজ হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসনকে হাইকোর্ট যে জামিন দিয়েছিলেন, তা বহাল রইল। তবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের জামিন হলে তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।
নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে এই মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এর শুনানি নিয়ে ৬ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত করতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যার শুনানি নিয়ে ৩১ মার্চ চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ৭ এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও মো. বশির উল্লাহ। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ ও কায়সার কামাল প্রমুখ।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে আটজন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ও ২৭ জন আহত হন। ঘটনায় পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি ৫৬ জন বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলাটি করে পুলিশ।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।