কুমিল্লার কোভিড হাসপাতালে করোনার উপসর্গ শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ছয়জন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী। হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ নিয়ে আজকে পর্যন্ত কুমিল্লা কোভিড হাসপাতাল চালুর ৭০ দিনে মারা গেছেন ৩৩৯ জন। গত ৩ জুন এই হাসপাতাল চালু হয়। ২৭ জুলাই ছাড়া প্রতিদিনই এই হাসপাতালে গড়ে পাঁচজনের মতো রোগী মারা গেছেন। ঈদের পর রোগীর সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ১০ আগস্ট রাত ১০টায় ভর্তি হন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ৫৫ বছরের এক নারী। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান। করোনা ওয়ার্ডে গতকাল বেলা ১১টায় ভর্তি হন সদর দক্ষিণ উপজেলার ৬৫ বছরের এক নারী। রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) গতকাল সকাল নয়টা ৩৫ মিনিটে বরুড়া উপজেলার ৭৯ বছরের এক পুরুষ ভর্তি হন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মারা যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ৬৫ বছরের এক পুরুষ গত ১০ আগস্ট বিকেল পৌনে চারটার দিকে ভর্তি হন। আজ ভোর পাঁচটা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান।
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ৮০ বছরের এক নারী গত ১১ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটা ১০ মিনিটে ভর্তি হন। গতকাল সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।
কুমিল্লা নগরের উত্তর চর্থা এলাকার ৫৮ বছরের এক ব্যক্তি গতকাল দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ভর্তি হন। সন্ধ্যা সাতটা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের সহকারী সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বর্তমানে এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৪০ জন। এর মধ্যে করোনা রোগী ৫২ জন। এতে ২৭ জন পুরুষ ও ২৫ জন নারী। আইসিইউতে ১৮ জন ভর্তি আছেন।
হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, অবস্থা গুরুতর হওয়া রোগীরাই এখানে সেবা নিতে আসেন। গত কয়েক দিনে রোগী ও মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে।