কুবির দুই শিক্ষককে শাস্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

মাহবুবুল হক ভূঁইয়া ও কাজী আনিছ
মাহবুবুল হক ভূঁইয়া ও কাজী আনিছ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। একই সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এই নেটওয়ার্ক। সেখানে ১৫৬ জন শিক্ষকের স্বাক্ষর রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও মেধাতালিকায় ১২তম স্থান অধিকার করা বিষয়ক এক সংবাদ প্রকাশের জেরে মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের উদ্যোগ না নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং ওই ঘটনা প্রকাশের তথ্যসূত্র বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অসৎ উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেছে।
পাশাপাশি ‘টু রেজিস্টার’ না লেখার কারণে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক শিক্ষক কাজী আনিছের পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ ঠুনকো অজুহাতে তাঁর পদোন্নতি বাতিল করে।

এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলনীতিবিরুদ্ধ ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এসব ঘৃণিত পদক্ষেপ আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও দায়িত্বশীল শিক্ষকদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক ও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ। এতে সার্বিকভাবে সমাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বিনষ্ট হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এই নেটওয়ার্ক।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আনু মুহাম্মদ, মানস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জোবাইদা নাসরীন, গীতি আরা নাসরীন, কামরুল হাসান, ফাহমিদুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজীব নন্দীসহ প্রমুখ।