কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দান বাক্সে এবার পাওয়া গেছে ৮৮ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জ, ৭ জুলাই, ২০১৮। ছবি: তাফসিলুল আজিজ
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জ, ৭ জুলাই, ২০১৮। ছবি: তাফসিলুল আজিজ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া গেছে। তিন মাস বিরতির পর শনিবার বিকেলে এই মসজিদের দানবাক্সে জমা থাকা অর্থ ও স্বর্ণালংকারের হিসাব করা হয়। টাকা ও স্বর্ণালংকার ছাড়াও দান হিসেবে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে।

শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের পাঁচটি দানবাক্স খোলা হয়। প্রথমে দানবাক্স থেকে টাকা খুলে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় টাকা গণনা। টাকা গণনার কাজ তদারক করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদ। এ সময় সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জ, ৭ জুলাই, ২০১৮। ছবি: তাফসিলুল আজিজ

পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুললে প্রতিবারই বিপুল পরিমাণ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ তাঁদের মনের আশা পূরণ ও মানতের জন্য মসজিদে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করে থাকেন। শহরের গাইটাল এলাকার নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই মসজিদ। গত ৩১ মার্চ মসজিদটির দানবাক্স খুলে ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদ বলেন, এবার ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া গেছে। দানবাক্সের টাকা ব্যাংকে জমা করে রাখা হবে।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জ, ৭ জুলাই, ২০১৮। ছবি: তাফসিলুল আজিজ

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এই মসজিদের দানবাক্সের টাকা ব্যাংকে জমা করে রাখা হয়। যে স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে, তা আগের স্বর্ণালংকারের সঙ্গে যোগ করে রাখা হয়েছে। মসজিদের আয় থেকে ওই মসজিদ ও মসজিদসংলগ্ন এতিমখানার খরচ ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজ, দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসাসহ নানা সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়ে থাকে।