যে দেশগুলো আগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা পাবে, সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠী পর্যায়ক্রমে করোনার টিকা পাবে।
আজ বৃহস্পতিবার করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহার পরিকল্পনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি পাওয়ার পয়েন্ট পেজেন্টেশন সভায় এ কথা জানানো হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠী পর্যায়ক্রমে করোনার টিকা পাবে।
সভায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, বিশ্বের যে ১৭টি দেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা পাচ্ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯–এর তিন কোটি ডোজ টিকা কিনবে। এই টিকা দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণযোগ্য, যা বাংলাদেশে বিদ্যমান রয়েছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে। টিকার পর্যায়ভিত্তিক প্রাপ্যতা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী তথা কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখসারির কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষাকর্মী এবং গণপরিবহনকর্মীরা টিকাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। টিকাদান কার্যক্রম শুরুর আগে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন ও টিকা প্রদানে জাতীয় পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে এবং উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও মহাপরিচালক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।